Asia Monitor18 ১৯৭৮ সালে প্রথম রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশে। পোশাক শিল্প তৈরিতে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ রপ্তানিকারক বাংলাদেশ। পোশাকশিল্পই দেশের অর্থনীতির মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রূপান্তরিত হয়েছে। কিন্তু গত জুলাই ও আগস্টে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলনের পর বাংলাদেশের পোশাকশিল্প ক্রমান্বয় হ্রাস পাচ্ছে। শেখ হাসিনার পতনে আন্দোলন শেষ হলেও এখনো অস্থিরতা রয়েই গেছে। পোশাক শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবিদাওয়ার কারণে এবং গ্যাসসংকটের কারণে উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। শুধুমাত্র গত বছরই ৫৪ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে ঢাকা। তবে বিশ্বে পোশাক রপ্তানির দিক দিয়ে বাংলাদেশেরও ছাড়িয়ে রয়েছে চীন। বাংলাদেশের মোট জিডিপির ১০ শতাংশ আসে পোশাক খাত থেকে।
তবে এই পরিস্থিতিতে এমন প্রশ্ন অনেকের মন থেকেই উঠে আসছে যে, ভারতের পোশাকশিল্প কি লাভবান হতে পারবে বাংলাদেশে এই অস্থিরতার সুযোগে? ব্রিটেনের প্রভাবশালী সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট, এ বিষয়টি এক প্রতিবেদনে বিশ্লেষণ করেছে।
ভারত যেসব তুলা উৎপাদন করে তা বাংলাদেশে রপ্তানি করে। ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ তুলা উৎপাদনকারী দেশ। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কয়েকটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশে চলমান অস্থিরতার কারণে তারা নতুন করে ৫৪ মিলিয়ন ডলারের অর্ডার পেয়েছে এবং গত আগস্টে স্প্যানিশ ফ্যাশন ফার্ম জারার কাছ থেকে ১৫ শতাংশ বেশি অর্ডার পেয়েছে বলে নয়াদিল্লির বাইরের আরেকটি গ্রুপ জানিয়েছে। তবে তুলা উৎপাদনের দিক থেকে ভারত এগিয়ে থাকলেও পোশাক খাতের দিক দিয়ে ভারত বাংলাদেশের থেকে অনেক পিছিয়ে।
শিল্প বিশ্লেষক মেহেদি মাহবুব বলেছে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পকে এখনই টেক্কা দেওয়ার সক্ষমতা ভারতের নেই। বাংলাদেশের পোশাককেই ইউরোপের বাজারগুলো প্রাধান্য দিয়ে থাকে। তিনি আরও বলেছেন ২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ভারতের পোশাক রপ্তানি থেকে আয় কমেছে প্রায় ১৫ শতাংশ। আর অন্যদিকে বাংলাদেশের ৬৩ শতাংশ বেড়েছে।