পুতিন কেন এখনও ইউক্রেনের আক্রমণকারীদের রাশিয়া থেকে বের করে দেননি, এই প্রশ্নের উত্তর বেশ জটিল। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হয়েছিল ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে, কিন্তু ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর সাহস ও আন্তর্জাতিক সমর্থনের কারণে রাশিয়ার লক্ষ্য অর্জন করা এত সহজ হয়নি।
প্রথমত, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী দুর্বল নয়। তারা একদিকে যেমন আন্তর্জাতিক সহায়তা পাচ্ছে, তেমনি তাদের সশস্ত্র বাহিনীও দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। ইউক্রেনের সামরিক শক্তি, জাতীয় একতা, এবং পশ্চিমা দেশগুলোর সমর্থন রাশিয়ার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
দ্বিতীয়ত, রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ সমস্যাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা, অর্থনৈতিক চাপ, এবং সামরিক বাহিনীর ত্রুটি রাশিয়ার যুদ্ধের সামর্থ্যকে ক্ষুণ্ণ করেছে। সামরিক বাহিনীর মধ্যে অস্থিরতা ও পরিকল্পনার অভাবও রাশিয়ার অগ্রগতি রোধ করেছে।
তৃতীয়ত, পুতিনের রাজনৈতিক লক্ষ্য এবং কৌশলগুলি কেমন হতে পারে সেটাও ভাবার বিষয়। রাশিয়ার পক্ষ থেকে যুদ্ধে একটি সামগ্রিক বিজয় লাভের বদলে কৌশলগত ও ভূরাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জন করতে হতে পারে। পুতিনের জন্য এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী খেলা হতে পারে, যেখানে সামরিক বিজয়ের চেয়ে বৃহত্তর রাজনৈতিক সুবিধা অর্জন গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়াও, পুতিনের কিছু কৌশলগত পদক্ষেপের মধ্যে ইউক্রেনের অঞ্চলে সামরিক দখল বজায় রাখা এবং আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে একটি কৌশলগত সুবিধা অর্জন অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এর ফলে, ইউক্রেনের আক্রমণকারীদের দ্রুত সরিয়ে দেওয়া পুতিনের বর্তমান কৌশলগত লক্ষ্য নাও হতে পারে।