Asia Monitor18 টাইফুন শানশানের প্রভাবে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৮০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। জাপানের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় কিউশু দ্বীপের সাতসুমা সেন্দাই শহরের উপর দিয়ে স্থলে উঠে এসেছে এই টাইফুন শানশান। স্থানীয় সময় সকালে এই টাইফুন দমকা হাওয়া সহ ঘণ্টায় সর্বচ্চ ২৫২ কিলোমিটার বেগে তাণ্ডব দেখিয়েছে। এই টাইফুনের প্রভাবে বৃহৎ একটি এলাকাজুড়ে মুষলধারে বৃষ্টির সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র থেকে শত কিলোমিটার দূরে ভূমিধ্বস এবং বন্যা সতর্কতা জারি করেছে।
শানশান জাপানে গত কয়েক দশকের মধ্যে আঘাত হানা অন্যতম শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। দেশটির দক্ষিণাঞ্চল থেকে লাখ লাখ বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ হয়েছে। শানশানের কারণে প্রায় ৩৫ হাজাররের ও বেশি বাড়ি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। দেশটির বিভিন্ন বিমানবন্দরে প্রায় সাতশরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। হণ্ডা, নিশানের মত বড় বড় গাড়ি কোম্পানিগুলি তাদের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। কিছু বাড়ির ছাদ উড়ে গেছে। রেল চলাচল ও কলকারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে।
উপকূলীয় শহর মিয়াজাকিতে ২০০ টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ও সেখানে প্রায় ২৫ জন আহত হয়েছে। কাগশিমা ও মিয়াজাকিতে ৫০ টিরও বেশি সুপারমার্কেট এবং ৯০০ টিরও বেশি সুবিধার দোকান বন্ধ করা হয়েছে সাময়িকভাবে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানায়।
আজ রবিবার শানশান আরও দুর্বল হয়ে ক্রান্তীয় নিম্নচাপে রূপান্তরিত হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে তবে ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হয়েছে।