Asia Monitor18 কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ৫ আগস্ট সরকার পতনের আগে ও পরে বিভিন্ন থানা, ফাঁড়িসহ পুলিশের বেশ কিছু স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ড ঘটানো হয়। সেইসময় অনেক জায়গায় অস্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ও নথি লুট করা হয়। তাই পুলিশ সদর দপ্তর নির্দেশ দিয়েছে পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ আজ মঙ্গলবারের মধ্যে জমা দেওয়ার জন্য। এবং বলা হয়েছে মঙ্গলবারের মধ্যে নিকটস্থ থানায় এগুলি জমা না দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন এই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সারাদেশে আগামীকাল বুধবার থেকে যৌথ অভিযান শুরু করবে। এই যৌথ অভিযানে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যা বসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা থাকবেন। অবৈধ অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তারে দেশব্যাপী অভিযান চালানো হবে।
পুলিশ সদরদপ্তর থেকে পাঠানো ছোট এক বার্তায় জানিয়েছে, গতকাল পর্যন্ত লুঠ করা বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রের মধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে ৩ হাজার ৮৮০টি। গুলি জব্দ করা হয়েছে ২ লাখ ৮৬ হাজার ৩৫৩ রাউন্ড, টিয়ার গ্যাসের শেল ২২ হাজার ২০১টি ও সাউন্ড গ্রেনেড ২ হাজার ১৩৯টি।
দেশে বর্তমানে লোকজনের কাছে বৈধ অস্ত্র রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার। এর মধ্যে ১০ হাজারের বেশি অস্ত্র রয়েছে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরদের হাতে। যাদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। তাদের অনেকেই ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর অস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছেন।
এ ছাড়াও বলা হয়েছে ছাত্র আন্দোলন থামাতে যারা নির্বিচারে গুলি করে গা-ঢাকা দিয়েছেন। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যেসব সদস্য নির্বিচারে গুলি করায় সঙ্গে জড়িত এবং পলাতক রয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।