বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের পদত্যাগের জন্য ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এই চাপের পরিমাণ এবং তার প্রকৃতি নিয়ে সমালোচকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, অনেকেই এটিকে ‘তালিবানি’ শাসনের সাথে তুলনা করছেন।
দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং প্রশাসনের মধ্যে চলমান বিরোধ, অভিযোগ, এবং আন্দোলনের ফলে কয়েকজন উপাচার্যকে পদত্যাগের চাপের মুখে পড়তে হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ট্রাফিক কন্ট্রোল এবং প্রশাসনের নির্দিষ্ট মহল থেকে উপাচার্যদের ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ সীমিত হয়ে পড়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন। এ প্রসঙ্গে একাধিক উপাচার্য জানিয়েছেন, তারা প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রয়েছেন এবং স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশে এ ধরনের হস্তক্ষেপ এবং চাপ প্রয়োগের ফলে শিক্ষার মান এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে, এভাবে চলতে থাকলে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতা এবং মান ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বিভিন্ন শিক্ষাবিদ, ছাত্রসংগঠন এবং নাগরিক সমাজ এ পরিস্থিতির তীব্র সমালোচনা করেছে। তারা বলছেন, উপাচার্যদের ওপর এমন চাপ প্রয়োগ করা দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং শিক্ষার স্বার্থের বিপক্ষে যায়। শিক্ষাঙ্গনে এ ধরনের অবস্থা চলতে থাকলে, ভবিষ্যতে শিক্ষাব্যবস্থায় দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়তে পারে।
এদিকে, সংশ্লিষ্ট মহলগুলো এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাতে অস্বীকার করেছে। তবে সাধারণ জনগণ এবং শিক্ষাবিদরা এ বিষয়ে সরকারের উচ্চ মহলের হস্তক্ষেপ ও সুষ্ঠু সমাধান আশা করছেন।