অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদল হওয়ার পরই চিনা জাহাজের দেখা মিলল ভারত মহাসাগরে।ভারত মহাসাগরে কয়েক মাস ধরেই তাদের উপস্থিতি চোখে পড়ছিল। বর্তমানে চিনের তিনটি জাহাজ ভারতীয় উপকূলের কাছাকাছি চলে আসে। উপগ্রহ চিত্রে সেই সমস্ত জাহাজের অবস্থান চিহ্নিত করা গেছে,যা ভারতের জন্য একটি উদ্বিগ্নের বিষয়।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন মুহাম্মদ ইউনূস।ইউনূসের সাথে চিনের সম্পর্ক হাসিনা অপেক্ষাকৃত ভালো।ভারতের কূটনীতিবিদরা এটি অনুমান করছেন যে,ভারতের পরমাণু এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির উপর নজরদারী রাখার জন্যই চিনা জাহাজগুলি ভারতীয় উপকূলের কাছাকাছি বারংবার আসছে।আরও একটি উদ্বেগের বিয়ষ হল ভবিষ্যতে এই সমস্ত চিনা জাহাজগুলি শ্রীলঙ্কা অথবা মালদ্বীপে ঘাঁটি গড়তে পারে কিংবা বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী কোনো বন্দরে।
হাসিনা সরকারের আমলে বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী কোনো বন্দরে ঘাঁটি গড়ার সুযোগ চিন সরকার পায়নি।কিন্তু চিন ইউনূস ঘনিষ্ট হওযায় সেই সুযোগ শি জিনপিং সরকারের কাছে রয়েছে।পূর্বেও চিন ভারতের উপর নজরদারী চালানোর জন্য ভারতের প্রতিবেশী দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপে ঘাঁটি গেড়েছিল।
একটি প্রতিবেদনের দাবি অনুযায়ী, শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ-পূর্ব থেকে শুরু করে মূল ভারতীয় ভূখণ্ড এবং আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মাঝামাঝি আন্তর্জাতিক জলসীমায় অবস্থান করছে শিয়াং ইয়াং হং ০৩, জোং শান ডা শু এবং ইউন ওয়াং ৭ নামে তিনটি চিনা জাহাজ। এর মধ্যে জোং শান ডা শু চিনের ‘সামুদ্রিক গবেষণাগার’ নামে পরিচিত। ১১৪.৩ মিটার দীর্ঘ এবং ১৯.৪ মিটার প্রস্থ ৬৮০০ টনের জাহাজটি চিনের বৃহত্তম গবেষণা জাহাজ।