ইউক্রেন কি এখনও রাশিয়াকে আক্রমণ করছে! ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির পর, মঙ্গলবার ৬ আগস্টের আক্রমণটিকে “সবচেয়ে বড় আন্তঃসীমান্ত আক্রমণ” হিসাবে ধরা হয়। সোমবার একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয় যে,ইউক্রেনের সেনারা ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে রাশিয়ার অভ্যন্তরে। তবে বেশিরভাগ মিডিয়া আউটলেট এই পদক্ষেপকে “আশ্চর্যজনক আক্রমণ” বলে অভিহিত করেছে।
৬ আগস্ট ইউক্রেন কুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলে একটি বিস্ময়কর আক্রমণ চালায়। প্রায় ১,০০০ সৈন্য এবং ২৫টিরও বেশি সাঁজোয়া যান ও ট্যাঙ্ক ব্যবহৃত হয়।ইউক্রেনীয় সৈন্যরা কুরস্ক অঞ্চলের ২৮টি শহর ও গ্রাম দখল করেছে। এই আক্রমণে ১,০০,০০০ এরও বেশি বেসামরিক মানুষ পালিয়ে গেছে। কুরস্কের গভর্নর অ্যালেক্সি স্মিরনভ একটি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন এবং প্রতিবেশী বেলগোরোড অঞ্চলেও পালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইউক্রেন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এই আক্রমণের দায় স্বীকার করেনি, তবে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইউক্রেনীয় সৈন্যদের ‘বীরত্ব’ সম্পর্কে প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন যে, রাশিয়াকে আরও চাপ দিলে শান্তি আরও তাড়াতাড়ি আসবে।বার্তা সংস্থা এএফপি-এর মতে, গত সপ্তাহে ইউক্রেনের হামলা ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিদেশী সেনাবাহিনীর দ্বারা সবচেয়ে শক্তশালী আক্রমণ ” ।
পুতিন অভিযোগ করেছেন যে, ইউক্রেনের আক্রমণ বেসামরিক ভবন এবং অ্যাম্বুলেন্স লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে এবং এটি একটি বৃহৎ প্ররোচনা। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, তারা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের ধ্বংস করতে বিমান হামলা, রকেট এবং আর্টিলারি ফায়ার ব্যবহার করছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবাই বলেছেন যে, তারা ইউক্রেনীয় অংশীদারদের সাথে যোগাযোগ বাড়াচ্ছে এবং কোনও নীতি পরিবর্তনের পরিকল্পনা নেই। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, “রাশিয়া ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে।”
রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনীয় সৈন্যদের পদক্ষেপের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পুতিন অভিযোগ করেছেন যে, ইউক্রেনের আক্রমণ একটি নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে এবং পশ্চিমা শক্তিগুলি ইউক্রেনকে তাদের আদেশ অনুসরণ করতে বাধ্য করছে। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনী এই অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের সরাতে কঠোর পরিশ্রম করবে।