ভারতকে দুঃসময়ের বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে বলেছেন, চীন থেকে শেখার আছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ মনে করল এদিকে ঝুঁকলাম নাকি ওদিকে ঝুঁকলাম। আমি সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি।’
গতকাল মঙ্গলবার গণভবনে ভারত সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সূচনা বক্তব্যে ভারতে রাষ্ট্রীয় সফরের অর্জনের কথা তুলে ধরেন।
আগামী ৮ জুলাই চিন সফরে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে দেশের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, এই সফরে গুরুত্বপূর্ণ স্থান পাবে বাণিজ্য এবং অর্থনীতি।
তাঁর এই সফরকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বেজিং। এই সফরে, দুই দেশের মধ্যে ১০টি সমঝোতা স্মারকে সই হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। হাসিনার এই সফরের অগ্রাধিকার থাকবে বাণিজ্য এবং অর্থনীতি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক। এই সফরের আগেই, চিনের কাছে অনেক কিছু শেখার আছে বলে মন্তব্য করেছেন শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার একমাত্র লক্ষ্য হল বাংলাদেশের আরও উন্নতি করা করা। তাই দেশের উন্নয়নে কার সঙ্গে কতটুকু বন্ধুত্ব দরকার, সেটা করে যাচ্ছে সরকার। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং কারও সঙ্গে বৈরিতা নয় এই নীতি নিয়ে কাজ আমরা করছি। ভারত আমাদের চরম দুঃসময়ের বন্ধু। আবার চিন যেভাবে নিজেদের উন্নত করেছে, সেখান থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। আমি সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই।’
এই সফরেও অন্য বিষয়ের সঙ্গে তিস্তা প্রকল্পর কথা উঠবে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তার জন্য চিন এবং ভারত দুই দেশই প্রস্তাব দিয়েছে জানিয়ে হাসিনা বলেন, ‘যে প্রস্তাবটা দেশের মানুষের কল্যাণে আসবে আমি সেটাই করব। কতটা ঋণ নিতে হবে, কতটুকু পারব সবকিছু বিবেচনা করতে হবে।’ তিস্তা প্রকল্প দেখার জন্য ভারত থেকে একটি টেকনিক্যাল গ্রুপ আসবে এবং চিনও একটা সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে বলে জানান হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘যেটা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং লাভজনক হবে আমরা সেটাই করব।’ হাসিনা বলেন, ‘ভারত যদি প্রকল্পটা করে দেয়, তাহলে সব সমস্যার সমাধানই হয়ে যায়। ভারতের সঙ্গে যদি তিস্তা প্রকল্পটা করা হয়, তাহলে জল নিয়ে আর সমস্যা থাকবে না।’