রাশিয়া সম্প্রতি কিয়েভে বিমান হামলা চালিয়েছে, যার ফলে কুরস্ক অঞ্চলের পন্টুন নামক একটি ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কুরস্ক অঞ্চলের এই পন্টুন ব্রিজটি সামরিক জিনিসপত্র সরবরাহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ব্রিজটি ধ্বংস হওয়ার পর, রাশিয়া কিয়েভের বিভিন্ন অংশে সহিংস হামলা শুরু করেছে, যা শহরের অবকাঠামো এবং সাধারণ মানুষের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।রাশিয়া বিভিন্ন ধরনের মিসাইল, গ্লাইড বোমা এবং ড্রোন ব্যবহার করে এই হামলা চালিয়েছে।
স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কুরস্ক অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত পন্টুন ব্রিজগুলোর স্থানীয়ভাবে পুনঃস্থাপনের চেষ্টা চলছে। ছবিগুলোতে ধোঁয়ার অস্তিত্ব লক্ষ্য করা গেছে, যা চলমান হামলার ইঙ্গিত দেয়। এই পরিস্থিতি তীব্র আকার ধারণ করেছে এবং কিয়েভের বিভিন্ন অংশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।
রাশিয়ার এই হামলা ইউক্রেনের ওপর চাপ বাড়িয়ে দিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। ইউক্রেন এবং তার সমর্থনে দেশগুলি এই আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে, পাশাপাশি সংকট সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
বিমান হামলার ফলে কিয়েভের বেশ কয়েকটি এলাকা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শহরের অভ্যন্তরে এবং আশেপাশের অঞ্চলে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের কারণে অনেক মানুষ হতাহত হয়েছে। হামলার লক্ষ্যবস্তু হিসেবে নির্বাচিত এলাকাগুলির মধ্যে সরকারের অফিস, আবাসিক এলাকা এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এই হামলা কিয়েভের পরিস্থিতি আরো জটিল করেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আহ্বান করেছেন। বিভিন্ন দেশের নেতারা এই সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য কাজ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ,তবে পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপের অভাব অনুভূত হচ্ছে।