ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ‘শান্তি সম্মেলন’ বলতে কী বোঝাচ্ছেন তা প্রথমে বুঝতে হবে, তারপরে যেকোনো আলোচনার আমন্ত্রণ গ্রহণ করা হবে, মঙ্গলবার ক্রেমলিন এই মন্তব্য করেছে।
জেলেনস্কি সোমবার বলেছিলেন যে, ইউক্রেন সংঘাতের উপর দ্বিতীয় সম্মেলনে রাশিয়ার প্রতিনিধি থাকা উচিত, যা গত মাসে সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার পর দ্বিতীয়বারের মতো প্রস্তাবিত। তবে মস্কো সেই সম্মেলনে উপস্থিত ছিল না।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জেলেনস্কির মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জ্ভেজদা নিউজ আউটলেটকে বলেন, “প্রথম শান্তি সম্মেলন মোটেও শান্তি সম্মেলন ছিল না। তাই প্রথমে এটি বোঝা প্রয়োজন যে তিনি কী বোঝাতে চান।”
সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে জেলেনস্কি মস্কোকে আমন্ত্রণ জানানোর কথা একেবারেই নাকচ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু এবার তার বক্তব্যে রাশিয়াকে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে মনে হচ্ছে, যা তার পূর্বের বক্তব্যের সাথে কিছুটা ভিন্নমত প্রকাশ করে।
গত ১৫ জুন সুইস পর্বত অঞ্চলে অনুষ্ঠিত দুই দিনের সম্মেলনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইউরোপের সবচেয়ে বড় সংঘাত সমাধানের জন্য ৯০টিরও বেশি দেশের নেতারা এবং শীর্ষ কর্মকর্তারা একত্রিত হন। তবে চীন এবং রাশিয়া সেই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না।
ক্রেমলিন সেই সম্মেলনের কঠোর সমালোচনা করে বলেছে, যে কোনো ধরনের সংঘাত সমাধানের আলোচনা যা রাশিয়াকে বাদ দিয়ে করা হয়, তা “অযৌক্তিক”। ক্রেমলিনের মতে, রাশিয়া ছাড়া ইউক্রেন সংঘাত সমাধানের কোনো প্রচেষ্টা কার্যকর হতে পারে না।
এখন, ক্রেমলিন স্পষ্ট করতে চায় যে, জেলেনস্কির নতুন প্রস্তাবিত শান্তি সম্মেলনের উদ্দেশ্য এবং প্রকৃতি সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা পাওয়া প্রয়োজন। রাশিয়া আগে থেকেই ইউক্রেন সংঘাত সমাধানে নিজেদের অংশগ্রহণের গুরুত্ব সম্পর্কে বলে আসছে এবং যে কোনো শান্তি আলোচনায় তাদের অন্তর্ভুক্তি অপরিহার্য বলে দাবি করছে।
এই পরিস্থিতিতে, জেলেনস্কি এবং রাশিয়ার মধ্যে শান্তি আলোচনার আয়োজনের বিষয়ে কোন প্রস্তাবনা সফল হবে কিনা তা এখনো অনিশ্চিত। ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান সংঘাত এবং এর ফলে সৃষ্ট আন্তর্জাতিক উত্তেজনা সমাধানে এই ধরনের সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তবে, এটি বাস্তবায়নের জন্য উভয় পক্ষের সম্মতি এবং আন্তরিক প্রচেষ্টা অপরিহার্য।