বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় থাকা রোহিঙ্গাদের ওপর ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত দুই শতাধিক নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী এবং শিশু।
বহুদিন ধরেই গৃহযুদ্ধ চলছে মায়ানমারে। এখনও পর্যন্ত নেভেনি সংঘর্ষের আগুন। বার্মিজ সেনা তথা ‘টাটমাদাও’-সের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে বিদ্রোহী আরাকান আর্মি। দফায় দফায় সংঘর্ষের জেরে প্রাণভয়ে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এর আঁচ এসে লাগছে পড়শি দেশগুলোতেও। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বাংলাদেশ সীমান্তে ভিড় জমাচ্ছেন হাজার হাজার রোহিঙ্গা।
এই হামলার জন্য আরাকান আর্মিকে দায়ী করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীদের তিনজন। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে আরাকান আর্মি।
এদিকে, এই ঘটনার জন্য মিলিশিয়া এবং মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী একে অপরকে দোষারোপ করেছে।
হামলায় ঠিক কতজন নিহত হয়েছেন তা যাচাই করতে পারেনি বা স্বাধীনভাবে দায় নির্ধারণ করতে পারেনি রয়টার্স।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওগুলোতে কর্দমাক্ত মাটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মৃতদেহের স্তূপ, তাদের স্যুটকেস এবং ব্যাকপ্যাকগুলোকে চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে। হামলায় বেঁচে ফেরা তিন ব্যক্তি দাবি করেছেন, ২০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। অপর এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, কমপক্ষে ৭০টি মৃতদেহ তিনি দেখেছেন।
মিয়ানমারের উপকূলীয় মংডু শহরের ঠিক বাইরে ভিডিওগুলোর অবস্থান যাচাই করেছে রয়টার্স। তবে সেগুলো কবে ধারণ করা হয়েছে তা স্বাধীনভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি সংস্থাটি।