হাসিনার দেশত্যাগের তিন দিনের মাথায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হল বাংলাদেশে। গতকাল বাংলাদেশের বঙ্গভবনে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হল নতুন অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীতে রয়েছেন ১৬ জন সদস্য।
হাসিনার দেশত্যাগের তিন দিনের মাথায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হল বাংলাদেশে। সেই মতোই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে শপথ নেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মহম্মদ ইউনুস৷ গতকাল বাংলাদেশের বঙ্গভবনে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হল নতুন অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীতে রয়েছেন ১৬ জন সদস্য।এর পরেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানায় আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে তারা প্রস্তুত বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
বৃহস্পতিবার মহম্মদ ইউনুসের শপথ গ্রহণের পরই আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, “বাংলাদেশে সাম্প্রতিক হিংসা বন্ধে আহ্বান জানিয়েছেন মহম্মদ ইউনুস৷ আমরা তাঁকে স্বাগত জানাচ্ছি। অন্তর্বর্তী সরকার এবং মহম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি সুষ্ঠ গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সচেষ্ট। তাই আমরা বাংলাদেশ সরকার এবং ইউনুসের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত৷”
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার সাংবাদিকদের বলেন, সাম্প্রতিক সহিংসতা বন্ধে ড. ইউনূসের আহ্বানকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও ড. ইউনূস বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ তৈরি করতে চায়। তাই আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও ড. ইউনূসের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছি।তিনি জানান, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার কূটনীতিক হেলেন লা ফাভে উপদেষ্টাদের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।এদিকে বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ)। ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেন, ইইউ বাংলাদেশের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। গণতান্ত্রিক ক্ষমতা হস্তান্তরের জটিল এ কাজে তাদের সহায়তা করা হবে। এ প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক হতে হবে।উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর ৬ আগস্ট বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান ও ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বৈঠকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে দেশের পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।এরপর ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে।