ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ করা নিয়ে বা এর বিরুদ্ধে সমালোচনা করে যদি কোনো ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। এ সংক্রান্ত একটি আইনে বুধবার স্বাক্ষর করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার পার্লামেন্ট ডুমা বিলটিকে সমর্থন করার দুই সপ্তাহ পর পুতিন নথিতে স্বাক্ষর করেন।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর পর থেকে নিজেদের বিরুদ্ধে কড়া বা তীব্র সমালোচনাকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছে মস্কো। প্রকাশ্যে রাশিয়ার বিরোধীতাকারীদের পেতে হচ্ছে কঠোর শাস্তিও।
নতুন আইনের কারণে রুশ কর্তৃপক্ষ আপত্তিকর সমালোচনা করে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের অর্থ, সম্পত্তি ও মূল্যবান জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করতে পারবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই আইনের ফলে রাশিয়ার নির্বাসিতরা লক্ষ্যবস্তুত পরিণত হতে পারে। বিশেষ করে যারা দেশ থেকে পালিয়ে গেছে কিন্তু এখনও দেশে তাদের সম্পত্তি রয়েছে।
তবে ক্রেমলিন জোর দিয়ে বলেছে, আইনের অপব্যবহার করা হতে পারে এই ধরণের আশঙ্কা ভিত্তিহীন। মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বুধবার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা বাস্তবে আইনের প্রয়োগের মূল্যায়ন করার সুযোগ পাব।’
ডুমার স্পিকার ভ্যাচেস্লাভ ভোলোডিন গত মাসে বলেছিলেন, আইনটি ‘বদমাশ এবং বিশ্বাসঘাতকদের জন্য যারা আজ আমাদের সৈন্যদের পিঠে থুথু দেয় এবং যারা তাদের দেশের সঙ্গে বেইমানি করেছে।’
মস্কো নিয়মিতভাবে হাজার হাজার রাশিয়ানকে বিশ্বাসঘাতক বলে চিহ্নিত করে যারা সামরিক অভিযানের প্রতিবাদে তাদের দেশ ছেড়েছিল। ইউক্রেনের আক্রমণের দ্বিতীয় বার্ষিকী ও রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের এক মাস আগে আইনটি কার্যকর করা হয়েছে।