এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের দ্বিতীয় বার চীন সফর, ঠিক সেই সময় যখন রাশিয়ার সেনাবাহিনী ইউক্রেনের ওপর তীব্র আক্রমণ চালাচ্ছে।
পুতিনের চিনা সফল ১৬ ই মে থেকে ১৭ ই মে মধ্যে হতে চলেছে চিনা স্টেট মিডিয়ার অনুসারে বছরখানেক আগে প্রেসিডেন্ট মস্কোতে সফর করেছিলেন।
চীন এবং রাশিয়ার বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের আর্থিক এবং বাণিজ্যিক আদান-প্রদানের জন্য চীনের উপর রাশিয়া অনেকটাই নির্ভরশীল। বরাবর মস্কোর পাশে চীন থাকার জন্য আমেরিকা ও অন্যান্য দেশগুলি রোষের মুখে পড়েছে বারবার।
ক্রেমলিন থেকে বলা হয় যে, ‘দুই নেতা তাদের বিস্তৃত “অংশীদারিত্ব এবং কৌশলগত সহযোগিতা” নিয়ে আলোচনা করবেন এবং সেই সাথে রোজ চীনা সহযোগিতার উন্নয়নের মূল ক্ষেত্রগুলি সংজ্ঞায়িত করবেন এবং আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ইস্যু নিয়ে মতামত বিনিময় করবেন’।
পুতিনের এই চীনা সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। এছাড়া কূটনীতিবিদদের মতানুসারে, আমেরিকাবিরোধী দেশ যেমন ইরান এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সমন্বয় সাধনের বিষয়টিও দুই নেতার আলোচনার বিষয় গুলির মধ্যে থাকতে পারে। প্রিয়ংইয়ং যে কিনা প্রায় অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পুরোপুরিভাবে চীনের ওপর নির্ভরশীল এবং পশ্চিমা দেশগুলি সরকার রাশিয়াকে যুদ্ধ সামগ্রী সরবরাহের মাধ্যমে সাহায্য করছে বলে অনুমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতে তেহরান যে দেশ কেনা রাশিয়া ও চীন দ্বারা অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠছে।
গত মাসে ন্যাটোর প্রধান জেনিনস স্টলটেনবার্গ সতর্ক করে বলেছিলেন যে, “ন্যাটো সদস্যরা এটা মনে করেন যে বিশ্বে আরো বিপজ্জনক কিছু হতে চলেছে, সেই আগ্রাসনের আভাস রাশিয়া, চীন, ইরান এবং উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে পাওয়া যাচ্ছে”। আরো বলেন যে, “এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে নিরাপত্তা শুধু আঞ্চলিক নয়, নিরাপত্তা বিশ্বব্যাপী”।