Asia Monitor18 চরমপন্থা ও অসহিস্নুতার মোকাবিলা করতে ধর্মীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। তিনি একথাই জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডোর সাথে সাক্ষাৎ করার পর। পোপ বলেছেন একটি শান্তিপূর্ণ ও ফলপ্রসূ সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য আন্তঃধর্মীয় সংলাপ জোরদার করতে চায় চার্চ।
পোপ ফ্রান্সিস এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের চার দেশের সফরের অংশ হিসেবে এখন বিশ্বের সবচেয়ে মুসলিম অধ্যুষিত দেশ ইন্দোনেশিয়ায় আছেন। এরপর তিনি পাপুয়া নিউগিনি, পূর্ব তিমুর ও সিঙ্গাপুর যাবেন। শেষ ১৯৮৯ সালে পোপ দ্বিতীয় জন পল ইন্দোনেশিয়ার সফর করেছিলেন। বর্তমানে তৃতীয় পোপ হিসেবে ৮৭ বছর বয়সে পোপ ফ্রান্সিস ইন্দোনেশিয়া সফরে গিয়েছেন।
তিনি ইন্দোনেশিয়ার সফরে গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় মসজিদ ‘ইস্তিকলাল’ পরিদর্শন ও সেখানে বিভিন্ন ধর্ম নেতাদের সাথে বৈঠক করেছেন। একই দিনে পোপ ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জারকাতার একটি ফুটবল স্টেডিয়ামে হাজারো মানুষের এক সমাবেশে যোগ দেবেন।সেখানে প্রায় ৮০ হাজারেও মানুষ উপস্থিত থাকবে। মসজিদ পরিদর্শন এবং ফুটবল স্টেডিয়ামে যোগদান এই দুটি সফরের প্রধান কর্মসূচী।
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট উইডোডোও বলেছেন ভ্যাটিকানের সাথে মিলে ইন্দোনেশিয়া একটি ক্রমবর্ধমান অশান্ত বিশ্বের মধ্যে স্বাধীনতা ও সহনশীলতা ছড়িয়ে দিতে চায়।
২০২০ সালে ধর্মীয় সম্প্রীতির প্রতীক হিসেবে ইন্দোনেশিয়া সরকার ‘ইস্তিকলাল’ মসজিদের সঙ্গে আওয়ার ‘লেডি অব দ্য আজাম্পশন’ ক্যাথেড্রালের সংযোগ স্থাপন করে ‘টানেল অব ফ্রেন্ডশিপ’ সুড়ঙ্গের মাধ্যমে। যা ২৮ দশমিক ৩ মিটার দীর্ঘ।
ইন্দোনেশিয়া মোট ছয়টি ধর্মকে আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বীকৃতি দেয়। সেগুলি হল ইসলাম, খ্রিষ্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ, প্রতেস্ত্যান্ত ও কনফুসিয়ানিস্ম।
ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ৮০ লাখ ক্যাথলিক খ্রিষ্টান বসবাস করে যা মোট জনসংখ্যার ৩ শতাংশেরও কম। মুসলমানের সংখ্যা ২৪ কোটি ২০ লাখ যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮৭ শতাংশ।