মঙ্গলবার বিকাল ৪টা নাগাদ সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যা মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে ‘গ্যাস বাবু’কে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।ঝিনাইদহ কারাগারের জেলার মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, “আদালতের নির্দেশে তাকে ঝিনাইদহ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।”
জেলা আওয়ামী লীগের নেতা কাজী কামাল আহমেদকে নিয়ে মুঠোফোন উদ্ধার অভিযানে যায় ডিবি পুলিশ
জেলা আওয়ামী লীগের নেতা কাজী কামাল আহমেদকে নিয়ে মুঠোফোন উদ্ধার অভিযানে যায় ডিবি পুলিশছবি: প্রথম আলো
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদকে নিয়ে হত্যার আলামত ও মুঠোফোন উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। আজ বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঝিনাইদহ জেলা কারাগার থেকে কাজী কামাল আহমেদকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে অভিযানে নেওয়া হয়।
পরে কাজী কামাল আহমেদকে ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্বর এলাকায় নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। পায়রা চত্বর-সংলগ্ন গাঙ্গুলি হোটেলের পেছনে একটি পুকুরের কাছে নেওয়া হয় তাঁকে। এ সময় পুকুরপাড়ে দাঁড়িয়ে কাজী কামাল আহমেদের কাছ থেকে শুনে জেলেদের পুকুরে নামিয়ে অভিযান চালানো হয়। অভিযান চলাকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঝিনাইদহ শহরে নিরাপত্তা জোরদার করে। কিছুক্ষণ পরে ঘটনাস্থলে আসেন ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ। তিনি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সহকারী কমিশনার মাহাফুজুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার আজিম-উল-আহসানসহ অন্য কর্মকর্তাদের নিয়ে অভিযান তদারক করেন।
গত ১১ মে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে নিখোঁজ হন সংসদ সদস্য আনার। তার বন্ধু স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাস কলকাতায় জিডি করার পর দুই দেশে তদন্ত শুরু হয়।
এরপর ২২ মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এমপি আনারকে কলকাতার এক বাড়িতে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন শেরে বাংলা নগর থানায় হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলা করেন।পরে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতা বাবুকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে তিনদিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত। পরে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।