শুক্রবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দপ্তর নিউইয়র্কে এই ভোটটি অনুষ্ঠিত হয়। ১৪৩ টি দেশ পক্ষে, নয়টি দেশ বিপক্ষে- যার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইজরায়েল ছিল এবং ২৫ টি দেশ এই ভোট থেকে বিরত ছিল। রাষ্ট্রপুঞ্জ, প্যালেস্টাইনকে সংগঠনের পূর্ণ সদস্য হওয়ার প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে এবং অস্ট্রেলিয়া প্যালেস্টাইনদের পক্ষে ভোট দিয়েছে।
প্রায় সাত মাস ধরে গাজায় ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধ চলার পর, রাষ্ট্রপুঞ্জে পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার জন্য আবেদন করে প্যালেস্টাইন।
প্যালেস্টাইনকে রাষ্ট্রপুঞ্জের পূর্ণ সদস্যপদ না দেওয়া হলেও শুধুমাত্র যোগদানের জন্য তাদের আরও ‘অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা’ দেওয়া হবে।
ওমর আওয়াদাল্লা যে কিনা জাতিসংঘের সহযোগ মন্ত্রী ও প্যালেস্টাইন লিবারেশন সংগঠনের সদস্য তিনি বলেছেন যে, “আমরা অস্ট্রেলিয়ার এই সিদ্ধান্তের কদর করি এবং এই পদক্ষেপের জন্য ধন্যবাদ জানাই”। তিনি আরও বলেন যে, “অস্ট্রেলিয়ার এই সিদ্ধান্তটি দুটি রাষ্ট্রের সমস্যাকে সমাধান করেছে এবং যে যে রাষ্ট্রগুলি মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি, ন্যায় ও স্থিতিশীলতাকে সমর্থন করতে চায় তাদেরও অস্ট্রেলিয়ার মতো একই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত”। এবং প্যালেস্টাইনকে রাষ্ট্রপুঞ্জের সদস্য হিসেবে স্বীকার করা উচিত।
ভোটের আগে, প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর জাতিসংঘের সমাবেশে বলেছেন যে, তার জনগণ ‘শান্তি ও স্বাধীনতা’ চায়।আরো বলেন যে ‘হ্যাঁ’ ভোট প্যালেস্টাইন এর অস্তিত্বের পক্ষে ভোট। এটি কোন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নয়।
ভোটের পরে রবার্ট উড জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বলেছিলেন যে, “তার দেশের ‘না’ ভোট প্যালেস্টাইনের রাষ্ট্রের বিরোধিতা করে না”।
আরও বলেন যে,”এর পরিবর্তে, এটি একটি স্বীকৃতি যে রাষ্ট্রীয়তাই হল একটি প্রক্রিয়া যা দলগুলির মধ্যে আলোচনার সাথে জড়িত।