Asia Monitor18 পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে ভারী বর্ষণের ফলে সমস্ত এলাকা জলমগ্ন হয়ে গেছে। পাঞ্জাব প্রদেশে ২৪ ঘন্টা ধরে চলা অবিরাম বৃষ্টির মধ্যে বিভিন্ন ঘটনার মাধ্যমে প্রায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত প্রায় আরও ২৭ জন। এছাড়াও ১৪টি বাড়ি ধসে পড়েছে। পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৩০ জুন থেকে পাঞ্জাবজুড়ে মৌসুমি বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন ৬৪ জন ও ৩৫টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শনিবার প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ) তরফ থেকে জানানো হয়, নিহতদের মধ্যে পাঁচ শিশু, তিন নারী ও চারজন পুরুষ রয়েছে। নারোয়াল ও মুলতান জেলায় বজ্রপাতে ফলে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। পিডিএমএ সতর্কতা জারি করে আরও বলেছে, ১৫ জুলাই পর্যন্ত পাঞ্জাবজুড়ে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।
বন্যার আশঙ্কায় পাহাড়ে ত্রাণ শিবির স্থাপন করেছে লাহোর, শিয়ালকোট, ফয়সালাবাদ ও গুজরানওয়ালা। বড় শহরগুলির প্রশাসন জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় সতর্ক রয়েছে এবং পিডিএমএ কন্ট্রোল রুম এবং জেলা জরুরি ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রগুলি সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডন জানিয়েছে,পাঞ্জাবের ত্রাণ কমিশনার নাবিল জাভেদ বন্যার পূর্বাভাস পেয়ে সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছে ডন।
প্রবল বর্ষণে পাঞ্জাবের নদী, ব্যারেজ ও বাঁধের জল বৃদ্ধি পেলেও জল প্রবাহ স্বাভাবিক রয়েছে। পিডিএমএ’র মহাপরিচালক ইরফান আলী কাঠিয়া বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোতে বন্যার ঝুঁকি বিবেচনায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলিকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে পাঞ্জাব সরকার।