মোহাম্মদ মুইজ্জু সরকারের ক্ষমতায় আসার পর মালদ্বীপ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের উত্তেজনা বেড়েছে। নতুন সরকারের বিদেশ নীতি ভারতবিরোধী হওয়ায় দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তিক্ত হয়ে উঠেছে। ফলে মালদ্বীপকে বয়কটের করার ডাক ওঠে ভারতের সামাজিক মিডিয়ায় ।
এছাড়া, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লাক্ষাদ্বীপের পর্যটন সম্ভাবনা তুলে ধরছেন এবং সেখানে ব্যাপক উন্নয়ন প্রকল্প শুরু করেছেন। এর ফলে লাক্ষাদ্বীপের প্রতি ভারতের পর্যটকদের আগ্রহ বেড়েছে, যা মালদ্বীপের পর্যটন শিল্পকে সরাসরি প্রভাবিত করেছে। মালদ্বীপের বদলে লাক্ষাদ্বীপকে পর্যটন গন্তব্য হিসেবে বেছে নিচ্ছেন অনেক ভারতীয়।
এই পরিবর্তনের ফলে মালদ্বীপের পর্যটন শিল্পে ধস নেমেছে, এবং দেশটির পর্যটন খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ভারতীয় পর্যটকদের সংখ্যা কমে যাওয়ায় মালদ্বীপের অর্থনীতি, যা পর্যটন খাতের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল, তাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
২০২৩ সালে ভারত ছিল মালদ্বীপের পর্যটক উৎসের শীর্ষে, কিন্তু ২০২৪ সালে ভারত ষষ্ঠ স্থানে চলে এসেছে।
এই পরিবর্তন মালদ্বীপের পর্যটন শিল্পে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে, কারণ এটি দ্বীপদেশটির অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পর্যটন শিল্পের আয় কমে যাওয়ার কারণে মালদ্বীপের স্থানীয় পর্যটন সংস্থা ও ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন।
পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য মালদ্বীপের কর্তৃপক্ষ ভারতীয় পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য নতুন কৌশল গ্রহণের দিকে মনোনিবেশ করছে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার মাধ্যমে এবং পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় অফার ও সুবিধা প্রদান করে মালদ্বীপ আশা করছে পর্যটন খাতে উন্নতি সাধন করতে পারবে।