Asia Monitor18 জাতীয় সংসদ প্রশ্ন- উত্তর পর্বে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ডঃ শিরীন শারমিন চৌধুরী। কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য মো হামিদুল হক খন্দকার তিস্তার উন্নয়নমূলক বিষয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার। এর জন্য অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের বৈদেশিক সাহায্য অনুসন্ধান কমিটির ৫১ তম সভায়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে ঋণ পেতে চিন সরকারকে অনুরোধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
শেখ হাসিনা আর ও বলেন যে চিন সরকার এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য আরও বিশদে সমীক্ষার বিষয় পরামর্শ দেন। ‘পাওয়ার চায়না’ বিভাগ চিন সরকারের নির্দেশ মত গত বছরের ২৭ আগস্ট ফিজিবিলিটি স্টাডি রিপোর্ট সংশোধনের প্রস্তাব বাংলাদেশ জল উন্নয়ন বোর্ডে পাঠিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিপ্তে পরবর্তী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, উত্তর বঙ্গের তিস্তা নদীর পাড়ে বসবাসকারী মানুষদের দুঃখ মেটানোর জন্য তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রকল্প রুপায়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই প্রকল্পে চিন সরকারের আর্থিক সহায়তায়ে সমীক্ষা সম্পন্ন করে প্রায় ৮হাজার ২১০ কোটি টাকার পিপিডি ২০২০ সালের আগস্টে ইআরডিতে দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও গত বছর চিন সরকার ৫ই মার্চ ইআরডিতে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করে যেখানে উল্লেখিত ছিল যে বড় আকারের ভূমি ও উন্নয়ন এবং নৌ চলাচল উন্নয়নের বিষয় বেশি বিশ্লেষণ থাকবে না ও বড় আকারের বিনিয়োগ বিষয়গুলির উল্লেখ থাকবে।
লক্ষ্মীপুর -১ আসনের সংসদ সদস্য ডঃ আনোয়ার হোসেন খানের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী জবাব দিয়ে বলেন,” দেশের বেশি বজ্রপাত প্রবণ ১৫ টি জেলায়ে বজ্রপাতের ফলে প্রাণহানি আটকানোর জন্য বজ্রনিরধক ব্যবস্থা গ্রহণ করার কাজ চলছে। এই প্রকল্পের জন্য ৬হাজার ৭৯৩ টি বজ্র নিরোধক ছাউনি তৈরি প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।