Asia Monitor18 হানিয়া হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে ইরান ও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার হত্যার প্রতিশোধের জন্য ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ইরানি কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন, তিনি ইসরায়েলে সরাসরি হামলার নির্দেশ দিয়েছেন। বুধবার সকালে ইরান জানিয়েছেন,হানিয়াকে হত্যা করা হয়েছে এবং এটা জানানোর কিছু সময় পরেই দেশটির সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে খামেনি ওই আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন তারা।
তবে ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধরত ইসরায়েল হানিয়া হত্যার কথা স্বীকার বা অস্বীকার, কোনোটাই করেনি। স্বীকার না করলেও ইসরায়েলের এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটানোর প্রমাণ আছে। এর আগেও তারা ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানী ও সামরিক কমান্ডারদের এ ধরনের গুপ্ত হামলা চালিয়ে হত্যা করেছিল।
মঙ্গলবার হানিয়া তেহরানে গিয়েছিলেন ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। ওই অনুষ্ঠান শেষের কয়েক ঘণ্টা পর বুধবার দুপুর রাতে তেহরানে নিজ বাসভবনে সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হন হানিয়া।
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাস কম্পাউন্ডে ইসরায়েলি হামলায় বেশ কয়েকজন ইরানি কমান্ডার নিহত হওয়ার পর এপ্রিলে ইসরায়েলের ওপর প্রকাশ্যে সবচেয়ে বড় হামলাটি চালিয়েছিল তেহরান। হামলাটি চালাতে কয়েকশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করেছিল তারা।
আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি আরও বলেন, “হানিয়ার রক্তের বদলা নেওয়া আমাদের দায়িত্ব।” কারণ তার হত্যাকাণ্ড ইরানের অভ্যন্তরে ঘটেছে। ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান, অন্য কর্মকর্তারা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, গার্ডস ও ইরানের জাতিসংঘ মিশন, সবাই প্রকাশ্যে বলেছেন, ইরান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেবে এবং সার্বভৌমত্বে সীমা লঙ্ঘনের জবাব দেওয়ার অধিকার তাদের আছে।