কিশিদা আজ রাজধানীতে একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন যে এলডিপি’র (লিবারাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি) নেতৃত্বের জন্য দ্বিতীয় মেয়াদে প্রার্থী হবেন না এবং আগামী মাসে পদত্যাগ করবেন। তিনি উল্লেখ করেন যে এলডিপি’কে একটি পরিবর্তিত দল হিসেবে উপস্থাপন করার প্রয়োজন।
কিশিদা বলেছেন,“স্বচ্ছ এবং খোলামেলা নির্বাচন এবং মুক্ত ও সজাগ বিতর্ক এখন অতীতের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এলডিপি’র পরিবর্তন দেখানোর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে আমি পদত্যাগ করছি।”
কিশিদার পদত্যাগের মূল কারণ হচ্ছে দলের মধ্যে চলমান রাজনৈতিক কেলেঙ্কারি। এলডিপি’র দুটি প্রধান গোষ্ঠী অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে, তাদের আয় ও ব্যয়ের যথাযথ ঘোষণা না দেওয়ার এবং রাজনৈতিক তহবিলকে অবৈধভাবে আইনপ্রণেতাদের মধ্যে বিতরণ।
কিশিদার অর্থনৈতিক নীতির প্রতি জনগণের আস্থাও কমে গেছে। বিশেষ করে মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইয়েনের দুর্বলতার কারণে অর্থনৈতিক উদ্বেগ বেড়েছে।
কিশিদার পদত্যাগের ঘোষণার পর, ইয়েনের মূল্য ডলারের বিরুদ্ধে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং নিক্কেই ২২৫ শেয়ার সূচক সামান্য কমেছে। মার্কেট বিশ্লেষকরা বলেছেন যে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বিনিয়োগকারীদের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
কিশিদার নেতৃত্বে জাপান আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, বিশেষ করে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে আমেরিকার জোট গঠনে এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের সময় জাপান তার সমর্থন অব্যাহত রেখেছে।
তবে এলডিপির ভেতরে বড় ধরনের আর্থিক কেলেঙ্কারির খবর প্রকাশিত হওয়ায় ফুমিও কিশিদার জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ে।
দেশটির পার্লামেন্টে এলডিপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। তাই যিনিই দলটির নেতা নির্বাচিত হবেন, তিনিই হবেন জাপানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।