গাজা উপত্যকার উত্তরের একটি এলাকায় সাম্প্রতিক এক প্রাণঘাতী বিমান হামলায় অন্তত ৮০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দক্ষিণের কিছু অংশে নতুন করে মানুষ সরানোর নির্দেশ দিয়েছে। এই হামলার ফলে উপত্যকাজুড়ে মানবিক সংকট আরও গভীর হয়েছে, আর লক্ষ লক্ষ মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
গাজায় চলমান সংঘর্ষে প্রতিদিনই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে। ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় অসংখ্য বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে, যা হাজার হাজার পরিবারকে বাস্তুচ্যুত করেছে। দক্ষিণের দিকে মানুষদের সরিয়ে নেওয়ার এই নতুন নির্দেশের ফলে, সংঘর্ষের এলাকা আরও বিস্তৃত হচ্ছে এবং আশ্রয়প্রার্থী মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
এই সংকটের মধ্যে হামাস দাবি করেছে, গত মাসে যে চুক্তি হয়েছিল তার বাস্তবায়ন করা হোক এবং তারা নতুন কোনো আলোচনায় বসতে অস্বীকার করেছে। তাদের মতে, পূর্বে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, সেটাই সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায়। তবে, এই অবস্থানের ফলে, আলোচনা এবং কূটনৈতিক সমাধানের সম্ভাবনা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।
সংকটটি এখন শুধু গাজার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই; বরং এটি পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তার ওপর প্রভাব ফেলছে। প্রতিবেশী দেশগুলো এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গভীর উদ্বেগের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে, কিন্তু কার্যকর সমাধান এখনও অধরা।
গাজায় এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ফলে যে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে, তা দ্রুত সমাধান না হলে, এটি আরও বড় আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অথচ, আপাতত শান্তি এবং স্থিতিশীলতার কোনো সুরাহা দেখা যাচ্ছে না।