ইরানের ভারপ্রাপ্ত বিদেশমন্ত্রী আলি বাকেরি ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের ভবিষ্যৎ নিয়ে তার দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি ফিলিস্তিনিদের অধিকার ও স্বাধীনতার পক্ষে ইরানের অব্যাহত সমর্থন ঘোষণা করেন এবং ইসরাইলের নীতির কঠোর সমালোচনা করেন।
এক বিবৃতিতে আলি বাকেরি বলেন, “ফিলিস্তিনিদের সংগ্রাম ন্যায়সঙ্গত এবং ইরান সবসময় তাদের পাশে থাকবে। ইসরাইলের আগ্রাসন ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধের অধিকার আছে। আমরা ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের জন্য সমর্থন অব্যাহত রাখব।”
তিনি আরও বলেন, “ইসরাইল একটি অবৈধ রাষ্ট্র এবং তার দখলদারিত্বের নীতি অব্যাহত থাকলে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জন করা সম্ভব নয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা এবং ফিলিস্তিনিদের অধিকারের প্রতি সমর্থন জানানো।”
আলি বাকেরি আরও উল্লেখ করেন, “ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একতাবদ্ধ হতে হবে এবং ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। একমাত্র একটি স্বাধীন এবং সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসতে পারে।”
ইরানের এই বক্তব্যের পর মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। ইসরাইলের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া না এলেও, এই বক্তব্য যে ইসরাইল-ইরান সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলবে তা স্পষ্ট।
ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকেও ইরানের এই সমর্থনের প্রশংসা করা হয়েছে। ফিলিস্তিনি নেতারা আলি বাকেরির বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “ইরানের এই সমর্থন আমাদের ন্যায্য অধিকারের জন্য লড়াইয়ে নতুন উদ্দীপনা যোগাবে।”
বর্তমান পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে সংঘর্ষ ও উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই সমস্যা সমাধানে নতুন কৌশল খুঁজছে। আলি বাকেরির এই বক্তব্যে এই অঞ্চলে আরও রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।