ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে, যখন ইরান ইজরায়েলের উপর হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ইরান এই হামলার পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে পাঁচটি দেশের অনুরোধ উপেক্ষা করার ইঙ্গিত দিয়েছে। এই ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন শক্তিধর দেশ, যাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স এবং জার্মানি রয়েছে, ইরানকে এই সংঘর্ষ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। তবে ইরান সরাসরি এই অনুরোধগুলোকে প্রত্যাখ্যান না করলেও তাদের সামরিক প্রস্তুতি এবং কড়া বিবৃতি থেকে স্পষ্ট হয়েছে যে, তারা এই অনুরোধ মানতে আগ্রহী নয়।
ইরান বলছে, ইজরায়েল তাদের আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি এবং তারা তাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যে কোনো পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। ইরানের এই অবস্থান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ এটি মধ্যপ্রাচ্যে আরও বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা তৈরি করছে।
ইজরায়েল, ইতিমধ্যেই তাদের সামরিক বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে এবং তারা জানিয়েছে, ইরানের যেকোনো আক্রমণের জবাব কঠোরভাবে দেওয়া হবে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আমাদের দেশ ও জনগণের নিরাপত্তা রক্ষায় আমরা কোনো ছাড় দেব না।”
বিশ্বের নেতারা এই পরিস্থিতি নিয়ে গভীরভাবে চিন্তিত, এবং তারা কূটনৈতিক পথে এই সংঘর্ষের সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে ইরানের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ ও বিবৃতি দেখে মনে হচ্ছে, পরিস্থিতি আরও উত্তেজনাপূর্ণ হতে পারে।
মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই উত্তেজনা যদি সংঘর্ষে পরিণত হয়, তবে তা শুধু ইরান এবং ইজরায়েলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বিপন্ন হতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় আরও সক্রিয় ও একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।