বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরের প্রতিক্রিয়া জানাতে আজ বুধবার বিকেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে গণ অধিকার পরিষদ। অভিযোগে উঠে আসে,তিস্তাসহ অভিন্ন নদীগুলোর পানিবণ্টনের চুক্তি ও সীমান্তে হত্যা বন্ধের মতো বিষয়ে ভারতের সঙ্গে চুক্তি করতে আওয়ামী লীগ সরকার বারবার ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে গণ অধিকার পরিষদ। দলটির নেতাদের অভিযোগ, বিগত চার জাতীয় নির্বাচনে একতরফাভাবে ভারতের সহযোগিতা পাওয়ার পুরস্কার হিসেবে দেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করে ভারত যা চায়, সবকিছু উজাড় করে তাদের দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। এতে বলা হয়, সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। জনগণের সম্মতি ছাড়া দেশবিরোধী এসব চুক্তি প্রত্যাখ্যান করছে গণ অধিকার পরিষদ। এই চুক্তির মাধ্যমে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে দলটি।
সংবাদ সম্মেলনে গণ অধিকার পরিষদের নেতারা অভিযোগ করেছেন, কানেকটিভিটির নামে বাংলাদেশ দিয়ে ভারতের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত রেল যোগাযোগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগের সমঝোতা, কৌশলগত ও অপারেশনাল খাতে সামরিক শিক্ষাসংক্রান্ত সহযোগিতা, ওষুধসংক্রান্ত সমঝোতা, বাংলাদেশের জলসীমায় ভারতের অবাধ বিচরণ, ভারতের ইনস্পেস, বাংলাদেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা, রেল মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা, সমুদ্রবিষয়ক গবেষণায় দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা ইত্যাদি সমঝোতা ব্যাপকভাবে বাংলাদেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করেছে।
লিখিত বক্তব্যে গণ অধিকার পরিষদ আরও অভিযোগ করে, ভারতকে সব ধরনের সুবিধা দেওয়ার বিনিময়ে কিছু অর্জন করতে না পারা ‘ডামি সরকারের ব্যর্থ ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতির বহিঃপ্রকাশ’।
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক, উচ্চতর পরিষদের সদস্য শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম, আবদুজ জাহের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান খান, আনিসুর রহমান, বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।