Asia Monitor18 শীর্ষ কমান্ডার ইসরায়েলই হামলায় গত মাসে নিহত হয় লেবাননের রাজধানী বৈরুতে। তাই প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য হিজুবুল্লাহ ইসরায়েলে তিনশোরও বেশি রকেট ও ড্রন নিয়ে হামলা চালায়। ১০ মাসের বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংঘর্ষ এটি। স্থানীয় সময় ভোর ৪ টের সময় ইসরায়েলে হামলা করা হয় এবং ভোর ৫ টার দিকে হিজুবুল্লাহ বড় আকারের হামলার পরিকল্পনা করেছিল বলে তারা দাবি করে।
হিজুবুল্লাহর প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহ জানিয়েছেন, রবিবারের হামলা শুধুমাত্র সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে। রবিবারের হামলায় লেবাননে তিনজন এবং ইসরায়েলে একজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, ইরানের রাজধানী তেহরানে গুপ্ত হামলার ফলে নিহত হন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ। এরপর ইরানের সর্বচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি হানিয়াকে হত্যার জন্য কঠোর জবাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে। এসব কারণে ইসরায়েলের ওপর যখন তখন হামলা হতে পারে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, যে পরিস্থিতির উদ্ভবই হোক না কেন ইসরায়েল প্রতিক্রিয়া জানাবে তবে পুরো মাত্রার যুদ্ধে জড়াতে চায় না। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইওভ গ্যালান্ত বলেন নিজেকে রক্ষা করতে যা করা প্রয়োজন ইসরায়েল তা সবই করবে। গ্যালান্ত ইসরায়েলজুড়ে ৪৮ ঘণ্টার জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। এই হামলা চলাকালে তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের কার্যক্রম প্রায় ৯০ মিনিটের জন্য রাখা হয়।
দশমাস ধরে চলা ইসরায়েলই হামলায় লেবাননে ৫০০ জনের বেশি নিহত হয়। এর মধ্যে ১০০ জন বেসামরিক নাগরিক। হিজুবুল্লাহর পাল্টা হামলায় অন্তত ১৫ জন সেনা ও ১১ জন বেসামরিক ইসরায়েলই নিহত হন। এই দুপক্ষের যুদ্ধের কারণে প্রায় কয়েক লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হন।