অবশেষে গুঞ্জনের সমাপ্তি টেনে পদত্যাগ করেছে বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছে আউয়াল কমিশন।সংবিধান অনুযায়ী পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্ব নির্ধারণ করা থাকলেও মাত্র আড়াই বছরেই বিদায় নিলো কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।সংবাদ সম্মেলন শেষে ইসি সদস্যরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বলেও জানা গেছে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তিনিসহ তাঁর কমিশনের সদস্যরা পদত্যাগ করার মনস্থির করেছেন। রাষ্ট্রপতির কাছে দেওয়ার জন্য পদত্যাগপত্রগুলো ইসি সচিবালয়ের সচিবের কাছে তাঁরা জমা দিয়েছেন।
সৌজন্য বিনিময়ে অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবীব খান ও মো. আলমগীর উপস্থিত ছিলেন। অন্য দুই কমিশনার রাশেদা সুলতানা ও মো. আনিছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন না।
নিজের বক্তব্য পড়ে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের জবাব না দিয়ে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন সিইসি। নিজের বক্তব্যে তিনি ১৯৭৩ সালের নির্বাচন থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচন পর্যন্ত সব কটি নির্বাচনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। পরদিনই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা শপথ নেন। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। প্রধান বিচারপতি থেকে শুরু করে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের অনেকে ইতিমধ্যে পদত্যাগ করেছেন। আজ হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন ইসি পদত্যাগের ঘোষণা দিল।