পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন সাবেক আইএসআই (ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স) প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়েজ হামিদকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। দেশের গোয়েন্দা সংস্থার এই সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, যা পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও সামরিক অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
জানা গেছে, সাবেক আইএসআই প্রধানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আর্থিক অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে। সরকারি তদন্ত কমিটির অনুসন্ধানে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং এরপর আদালতে হাজির করা হয়। এই ঘটনা পাকিস্তানের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এক নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই বিচারের মাধ্যমে পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও সামরিক সংস্থাগুলির মধ্যে সম্পর্কের এক নতুন দিক উন্মোচিত হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে আইএসআই-এর কার্যকলাপ নিয়ে নানা সমালোচনা এবং অভিযোগের মুখোমুখি হতে হয়েছে পাকিস্তানকে, তবে এই প্রথমবারের মতো কোনো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সরাসরি বিচারের আওতায় আসছেন।
সাবেক আইএসআই প্রধানের পক্ষে আইনজীবীরা অভিযোগগুলোকে ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন। তারা বলেছেন, এই বিচার প্রক্রিয়া দেশের সামরিক বাহিনীর মর্যাদার জন্য হুমকিস্বরূপ।
সরকারি পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার অঙ্গীকার হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় দেশের সাধারণ জনগণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে একে ন্যায়বিচারের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন যে, এর ফলে দেশের রাজনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।
পাকিস্তানে এই বিচারের ফলাফল ভবিষ্যতে সামরিক ও বেসামরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।