Asia Monitor18 উড়ন্ত নদীর ফলে বিশ্বজুড়ে দেখা দিয়েছে বন্যা ও ভূমিধ্বস। এইি’আকাশের নদী’ বা ‘উড়ন্ত নদী’ হল ভূপৃষ্ঠ থেকে বায়ুমণ্ডল পর্যন্ত লম্বা ও প্রশস্ত জলীয় বাষ্পের স্তর। এই উড়ন্ত নদীগুলি পৃথিবীর মধ্য অক্ষাংশ জুড়ে চলাচল করা মোট জলীয় বাষ্পের প্রায় ৯০ শতাংশ বহন করে থাকে। তবে এটি চোখে দেখা যায় না। শুধুমাত্র আমরা যা দেখতে পাই তা কিছু পুঞ্জিভূত মেঘ। এই বায়ুমণ্ডলীয় নদী প্রায় গড়ে দুই হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ, ৫০০ কিলোমিটার প্রশস্ত এবং প্রায় ৩ কিলোমিটার গভীর হয়ে থাকে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এই বন্যাগুলো বায়ুমণ্ডলীয় নদীর কারণেই হচ্ছে। এই নদীগুলি প্রতিনিয়ত ধ্বংসাত্মক হয়ে উঠছে যা লাখ লাখ মানুষকে বিপদে ফেলছে।
বর্তমানে বাংলাদেশ এই ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি পার করছে। বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে অতিমাত্রার বন্যা দেখা যাচ্ছে। সবচেয়ে সাম্প্রতিক উদাহরণ চিন, কানাডা সহ ভারতের কিছু অংশ। এত ঘন ঘন বন্যা এটাই মনে করিয়ে দিচ্ছে দ্রুত উষ্ণ হয়ে উঠতে থাকা বায়ুমণ্ডল আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি আদ্রতা ধারণ করছে। কয়েকমাস আগে দুবাইয়ের বন্যার ভয়াবহতা দেখেছে বিশ্ব। উন্নত দেশ হওয়ার সত্ত্বেও পরিস্থিতি সামাল দিয়ে গিয়ে হিমসিম খেয়ে গেছে এই দেশ। বসবাসের জন্য বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল দুবাই। এছাড়াও বন্যার কবলে পড়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবও। বন্যায় তলিয়ে যাচ্ছে কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া।
২০২৩ সালের এপ্রিলে ইরাক, ইরান, কুয়েত সহ জর্ডান ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে। এর সংকেত ছিল তীব্র বজ্রপাত, শিলাবৃষ্টি ও অতি মাত্রায় বৃষ্টিপাত। আবহাওয়াবিদরা পরে দেখেন ওইসব অঞ্চলের বায়ুমণ্ডল রেকর্ড পরমাণ আদ্রতা বহন করেছে যা ২০০৫ সালের পরিস্থিতিকেও ছাড়িয়ে গেছে।
এক বছর আগে অস্ট্রেলিয়ার কিছু অংশে বন্যা আঘাত হানে যাকে আখ্যা দেয়া হয়েছিল ‘রেইন বোমা’ বলে। এই বন্যায় ২০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয় এবং হাজার হাজার মানুষকে গৃহ থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।