Asia Monitor18 ইরানের উত্তর- পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায়ে একটি ভূমিকম্প হয়েছে। এই ভূমিকম্পে প্রায় ১২০ জন আহত এবং ৪ জন মারা গেছে। ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৪.৯।মঙ্গলবার রাতে হওয়া এই ভূমিকম্পে কাশমার নামক শহরটিতে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে যানা গেছে। রয়টার্স জানিয়েছে, ইরানের রাস্ত্রয়ত্ত টেলিভিশনে দেখা গেছে ভূমিকম্পের পর একটি রাস্তায়ে জরুরী বিভাগের কর্মীরা কাজ করছে এবং দেখা গেছে সেখানকার সব ভবনগুলো ভেঙে ধ্বংসস্তূপে রূপান্তরিত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভের তরফ থেকে যানা গেছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তি ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। কাশ্মারের গভর্নর হাজাতুল্লা শরিয়তমাদারি ইরানের রাস্ত্রয়ত্ত টেলিভিশনে বলেছেন, স্থানীয় সময় দুপুর ১ টা ২৪ মিনিটে এই ভূমিকম্পটি হয়েছিল। এই ভূমিকম্পের ফলে কাশ্মারের শহর ও আশেপাশের এলাকার জীর্ণ বা অর্ধভগ্ন ভবনগুলি প্রধানত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও বিশেষ কি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনও পর্যন্ত জানা যাইনি। আহতদের সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান যে ৩৫ জন আহত কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ইরান দেশটির সীমা অনেকগুলি টেকটনিক প্লেটে ছড়িয়ে থাকার ফলে এটি একটি ভূমিকম্প প্রবণ দেশ। এখানে প্রায় হটাত হালকা ও মাঝারি ভূমিকম্প দেখা যায়ে। ভারী এবং ক্ষয়ক্ষতিগ্রস্ত ভূমিকম্পও লক্ষ্য করা যায়ে। গেল বছরের প্রথমে তুরস্কের সীমান্তের কাছে উত্তর- পশ্চিমাঞ্চলে পার্বত্য এলাকায়ে ৫.৯ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে দেখা গিয়েছিল ৩ জন মারা গিয়েছিল এবং ৮০০ জনের বেশি আহত হয়েছিল। ইরানের ভূমিকম্পের ইতিহাসে প্রাণঘাতী ও ধ্বংসকারী ভূমিকম্পের মধ্যে একটি হল ২০০৩ সালের ভূমিকম্প। ৬.৬ মাত্রার এই ভূমিকম্প দক্ষিণ- পূর্বাঞ্চলীয় বাম শহরের ৩১ হাজার মানুষের প্রাণ নিয়েছিল।
এছাড়াও ২০১৭ সালে এই দেশের পশ্চিম অঞ্চলে একটি ভূমিকম্পে ৬০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয় এবং প্রায় ৯ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়। এই ভূমিকম্প মাত্রার তীব্রতা ছিল ৭ মাত্রা। এই ঘটনা বারবার ঘটার ফলে ইরান নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।