টোকিও, ১৬ জুলাই, ২০২৪: মধ্য এশিয়ায় চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের প্রতিক্রিয়ায় জাপান এই অঞ্চলে তার উপস্থিতি জোরদার করতে শুরু করেছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে জাপান আশা করছে, চীনের প্রভাবকে বাধাগ্রস্ত করার পাশাপাশি মধ্য এশিয়ার দেশগুলির স্বাধীনতা রক্ষা করা যাবে এবং ইউরেশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে জাপানের প্রভাব বাড়ানো সম্ভব হবে।
জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মধ্য এশিয়ার দেশগুলির সাথে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে জাপান একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে প্রযুক্তি, শিক্ষা এবং অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জাপানের এই পদক্ষেপের দ্বিগুণ প্রভাব রয়েছে। প্রথমত, এটি মধ্য এশিয়ার দেশগুলির স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে সহায়ক হবে। দ্বিতীয়ত, এটি ইউরেশিয়ার ভূ-রাজনীতি গঠনে জাপানের প্রভাবকে বাড়িয়ে তুলবে, যা এই অঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।মধ্য এশিয়ার অনেক দেশই চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অংশ হিসেবে বিভিন্ন প্রকল্পে জড়িত। তবে এই প্রকল্পগুলো নিয়ে দেশগুলোর মধ্যে চীনের প্রভাব বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। জাপানের উদ্যোগ এসব দেশের জন্য একটি বিকল্প সরবরাহ করতে পারে এবং চীনের একক প্রভাবকে প্রতিহত করতে সহায়তা করবে।
জাপানের কৌশলগত পদক্ষেপের ফলে মধ্য এশিয়ায় নতুন ধরনের সহযোগিতা ও প্রতিযোগিতার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। এটি শুধু এই অঞ্চলেই নয়, বরং সমগ্র ইউরেশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক ভারসাম্যে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে।জাপানের এই উদ্যোগ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যেও সাড়া ফেলেছে। বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা জাপানের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে এবং এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, “আমরা মধ্য এশিয়ার দেশগুলির সাথে আমাদের সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি, এই অঞ্চলে আমাদের উপস্থিতি জোরদার করা কেবল মধ্য এশিয়ার দেশগুলির জন্যই নয়, বরং সমগ্র ইউরেশিয়ার জন্যও মঙ্গলজনক হবে।”