এক বছরের মধ্যে চীন-রাশিয়ার বাণিজ্যিক সম্পর্ক ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নতুন মাইলফলক ছুঁলো

চীন ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক এক বছরের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মাইলফলক ছুঁয়েছে। এই উল্লেখযোগ্য অর্জন দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মজবুত ভিত্তিকে প্রতিফলিত করে।

চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত চীন ও রাশিয়ার মধ্যে মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। এই বৃদ্ধির পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে দুই দেশের মধ্যে শক্তি, কৃষি, প্রযুক্তি এবং বিভিন্ন শিল্পখাতের বাণিজ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই অর্জনকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের আশা ব্যক্ত করেছেন। এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, “এই মাইলফলক আমাদের অর্থনৈতিক সহযোগিতার দৃঢ়তা ও ভবিষ্যতের সমৃদ্ধির প্রতীক। আমরা একসাথে আরও উচ্চতায় পৌঁছানোর লক্ষ্য রাখছি।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বাণিজ্যিক সম্পর্কের মজবুত ভিত্তি দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করবে এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে তাদের প্রভাব বৃদ্ধি করবে। চীন ও রাশিয়া উভয়েই তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক বাজারে অবস্থান মজবুত করার লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করছে।

চীন ও রাশিয়ার বাণিজ্যিক সম্পর্কের এই অগ্রগতি আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অঙ্গনেও আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে এই সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। তবে, চীন ও রাশিয়া তাদের স্বার্থ রক্ষায় এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রধান ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে শক্তি খাত বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। রাশিয়া চীনে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের প্রধান উৎস হিসেবে কাজ করছে, যা দুই দেশের মধ্যে শক্তি নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করছে। এছাড়া কৃষি, প্রযুক্তি এবং অন্যান্য শিল্পখাতেও উভয় দেশের মধ্যে বিনিয়োগ ও সহযোগিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এই মাইলফলক চীন ও রাশিয়ার মধ্যে ভবিষ্যতে আরও উচ্চ পর্যায়ের বাণিজ্যিক ও কৌশলগত সম্পর্কের সূচনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

About Tuhina Porel

Check Also

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীর্ঘ সময় পর পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন

Asia Monitor18 পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ভারতের কোনো মন্ত্রী শেষবার ২০১৫ সালে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!