তিব্বতের দুইটি বৌদ্ধ মঠের স্কুল বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের সরকারি বোর্ডিং স্কুলে পাঠিয়েছে চীন

চীনের সরকার তিব্বতের দুটি বৌদ্ধ মঠের স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে এবং সেখানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সরকারি বোর্ডিং স্কুলে পাঠিয়েছে। এই পদক্ষেপটি চীনা কর্তৃপক্ষের তিব্বতি সংস্কৃতি ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলির উপর ক্রমবর্ধমান কঠোর নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ঘটনাস্থল:তিব্বতের দুটি প্রধান মঠের স্কুল বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্তের ফলে সেখানকার শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রম এবং আবাসস্থল পরিবর্তিত হয়েছে। এসব শিক্ষার্থীদের তিব্বত থেকে দূরে চীনের মূল ভূখণ্ডের সরকারি বোর্ডিং স্কুলে স্থানান্তর করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া:তিব্বতিরা এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী এবং মঠের অনুসারীরা এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন। তাদের মতে, এটি তিব্বতি ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উপর আঘাত এবং শিক্ষার্থীদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও বিশ্বাস থেকে বিচ্ছিন্ন করার প্রচেষ্টা।

চীনা সরকারের বক্তব্য:চীনা সরকার তাদের এই সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছে যে, এটি শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য এবং শিক্ষার্থীদের জন্য আরও ভালো সুযোগ সৃষ্টি করতে করা হয়েছে। তারা দাবি করেছে যে, এই পদক্ষেপ শিক্ষার্থীদের একটি আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে পরিচিত করবে এবং তাদের ভবিষ্যত উন্নয়নে সহায়তা করবে।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো চীনের এই পদক্ষেপকে তিব্বতি সংস্কৃতির উপর আক্রমণ হিসেবে দেখছে এবং বলছে এটি তিব্বতিদের অধিকার ও স্বাধীনতার লঙ্ঘন। অনেকেই মনে করছেন, চীনের এই পদক্ষেপ তিব্বতের স্বায়ত্তশাসন এবং সাংস্কৃতিক স্বাধীনতার প্রতি আরও একটি আঘাত।

ভবিষ্যৎ প্রতিক্রিয়া:এই ঘটনার ফলে তিব্বতের স্থানীয় জনগণের মধ্যে চীনা সরকারের প্রতি বিদ্রোহ ও অসন্তোষ বাড়তে পারে। তিব্বতিরা তাদের সংস্কৃতি ও ধর্মীয় ঐতিহ্য রক্ষার জন্য বিভিন্ন প্রতিবাদ ও আন্দোলন করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।চীনের এই সিদ্ধান্ত তিব্বতিদের সংস্কৃতি, ধর্ম এবং শিক্ষা ব্যবস্থার উপর কী প্রভাব ফেলে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কিভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়, তা এখন দেখার বিষয়।

About Ritu Saha

Check Also

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীর্ঘ সময় পর পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন

Asia Monitor18 পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ভারতের কোনো মন্ত্রী শেষবার ২০১৫ সালে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!