প্রধান বিচারপতি হাই কোর্টের বিচারপতিদের নিয়ে পূর্বে নির্ধারিত ফুলকোর্ট সভা আহ্বান করেছিলেন। তবে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই সময়েই হাই কোর্ট ঘেরাওয়ের ডাক দেয়, যার কারণে এই সভা স্থগিত করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনটি দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি সংগঠন, যারা সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তারা অভিযোগ করেছেন যে, আদালতে তাদের দাবি-দাওয়া সঠিকভাবে শুনানি করা হচ্ছে না এবং বিচার প্রক্রিয়ায় বৈষম্য করা হচ্ছে।
হাই কোর্ট ঘেরাওয়ের ডাক দেওয়ার পর, বিচার বিভাগের শীর্ষ পর্যায় থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং পরিস্থিতির উত্তেজনা ও নিরাপত্তার বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে ফুলকোর্ট সভা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন যে, তারা ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। অন্যদিকে, বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আইন ও বিচার বিভাগের ওপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে আদালতের স্বাধীনতা এবং ন্যায়বিচারের প্রশ্নটি আবারও আলোচনায় উঠে এসেছে।