বুয়েন্স আয়ার্স, ১৬ জুলাই, ২০২৪: আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে অবস্থিত ইহুদিদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র আমিআ ভবনে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনায় ইরানি নাগরিকদের জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ও বিচারমন্ত্রী মারিয়ানো কুনিও লিবারোনা। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়।
হামলার ফলে আমিআ ভবনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং অন্তত ২০ জন নিহত ও ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। পুলিশ ও উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে এবং মৃতদেহ উদ্ধার করছে।
মারিয়ানো কুনিও লিবারোনা জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে এই হামলার পেছনে ইরানি নাগরিকদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা সুনির্দিষ্ট তথ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে এই অভিযোগ করছি। তদন্ত চলছে এবং আমরা আশা করছি শীঘ্রই এর পেছনের কুশীলবদের চিহ্নিত করতে সক্ষম হব।”
এই ঘটনার পর আর্জেন্টিনার বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনী হামলাকারীদের খুঁজে বের করতে এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে এই হামলার নিন্দা জানানো হয়েছে এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করা হয়েছে। ইহুদি সম্প্রদায়ের নেতারা এই হামলাকে একটি বর্বরোচিত ও কাপুরুষোচিত আক্রমণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এই হামলা ১৯৯৪ সালে একই ভবনে ঘটে যাওয়া বোমা হামলার স্মৃতিকে তাজা করে তুলেছে, যেখানে ৮৫ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছিলেন। সেই হামলার তদন্তেও ইরানি সরকারের ওপর অভিযোগ ওঠে, তবে তা আজও নিষ্পত্তি হয়নি।
আর্জেন্টিনা সরকার এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দায়ীদের বিচার নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র জানান, “আমরা আর্জেন্টিনার জনগণের নিরাপত্তা রক্ষায় সবসময় সতর্ক রয়েছি এবং এ ধরনের জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করব।”