বাংলাদেশে চূড়ান্ত সাফল্য না এলেও জাতীয় নির্বাচনের আগের সরকারবিরোধী আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করে না বিএনপি। সমাজবিরোধী বিভিন্ন অপকৌশলের’ সঙ্গে পেরে না ওঠায় লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হয়নি বলে মনে করে বিএনপি।তবে জাতীয় নির্বাচনে সাধারণ মানুষ ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ায় আন্দোলনের নৈতিক বিজয় হয়েছে বলেও তারা মনে করে দলটি।
বিএনপির মতে,আন্দোলন ঘিরে তাদের পরিকল্পনায় কোনো ঘাটতি ছিল না। তাদের লক্ষ্য ছিল শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আন্দোলনকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো। তবে সরকার বিচার বিভাগ, প্রশাসনসহ রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে সেই আন্দোলন দমাতে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।
বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, বিগত আন্দোলন ঘিরে সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিল, তা মাথায় রেখেই তারা আগামী দিনের কর্মসূচি চূড়ান্ত করবেন। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী সামনের দিকে অগ্রসর হবেন।
বিএনপি গত রোববার সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেছে, বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা যাতে রাজনীতি করতে না পারেন, সেজন্য তাদের সাজা দিয়ে দূরে রাখতে নতুন ট্রাইব্যুনাল করছে সরকার। বামঐক্যের সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়টি উত্থাপন করে বিএনপি। তখন জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়, সব স্বৈরশাসকই এভাবে দমনপীড়নের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকতে চায়। এসব মোকাবিলা করেই আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হবে। এদিকে সমমনা জোট আগামীতে কর্মসূচি প্রণয়নে সমন্বয়হীনতা দূরীকরণের ওপর জোর দেয়। যুগপতের সব দল ও জোট থেকে দু-একজন করে নিয়ে একটি শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন তারা।
বিএনপির সঙ্গে বৈঠক সম্পর্কে জানতে চাইলে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, ‘সরকারের দুঃশাসনে অতিষ্ঠ মানুষ পরিবর্তন চায়। এ অবস্থায় যুগপৎ আন্দোলনকে কীভাবে পুনরুজ্জীবিত করে মাঠে নামা যায়, সে বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করেছি। আগামীতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়েই দাবি আদায় করা হবে।’
১২ দলীয় জোটের শরিক লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান বলেন, ‘আগামীর আন্দোলনে জামায়াতসহ সরকারবিরোধী সব দলকে কীভাবে একসঙ্গে মাঠে নামানো যায়, সেই আন্দোলনের কর্মকৌশল কী হবে—সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ঈদের পর থেকে যুগপৎ আন্দোলন শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে।’