আজ সোমবার ভোর ৪টা ২০ মিনিটের দিকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ঢাকার বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর খালেদা জিয়াকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়াকে সিসিইউ সুবিধা–সংবলিত কেবিনে রেখেই সার্বক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘তিনি গুলশানের বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছে।’আজ মঙ্গলবার আনুমানিক রাত সাড়ে ৩টার দিকে খালেদা জিয়াকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।এক সপ্তাহেরও কম সময়ের ব্যবধানে আবারো হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে খালেদা জিয়াকে।
এর আগে ২২ জুন বিএনপি চেয়ারপারসন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ১২ দিন থাকার পর ১২ জুলাই তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ সময় অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল সফলভাবে তার বুকে পেসমেকার বসান।অস্ত্রোপচারের পর তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৫ জুন জানিয়েছিলেন।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থরাইটিস, ডায়াবেটিস এবং কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যা সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন।২০২০ সালে কারাগার থেকে তার শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে, তিনি বিভিন্ন সময়ে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন।২০২১ সালের নভেম্বরে লিভার সিরোসিস ধরা পড়ার পর থেকে ডাক্তাররা তাকে বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
গত বছরের ২৬ অক্টোবর তিনজন মার্কিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তার পেটে ও বুকে জমে থাকা পানি সড়াতে এবং তার লিভারে রক্তপাত বন্ধ করতে ট্রান্সজুগুলার ইন্ট্রাহেপ্যাটিক পোর্টোসিস্টেমিক শান্ট (টিআইপিএস) নামে পরিচিত একটি হেপাটিক পদ্ধতি ব্যবহার করেন।