Asia Monitor18 বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দিয়েছে ভারত সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দেওয়ার এই বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্তে খুশি হয়ে বলেন অবশেষে বাংলাকে ধ্রপদী ভাষার স্বীকৃতি দিয়েছে ভারত সরকার। তিনি জানান বহু দিন ধরেই এই স্বীকৃতির জন্য প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। এই বিষয় নিয়ে গবেষণার তিনটি খণ্ড কেন্দ্রের কাছেও পাঠানো হয়েছে। অবশেষে সেই দাবিই মেনে নিয়েছে কেন্দ্র।
বাংলা ভাষা সহ আরও পাঁচটি ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এই পাঁচটি ভাষা হল বাংলা, মারাঠি, পালি, প্রাকৃত ও অসমীয়া। এর আগে যে ভাষাগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে তা হল সংস্কৃত, তেলুগু, তামিল, মালয়ালম, কন্নড় ও ওড়িয়া। বর্তমানে এর সাথে আরও নতুন ভাষা যুক্ত হল।
অন্যদিকে ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানা গেছে আদি ভাষা এবং সাহিত্যের সঙ্গে বর্তমানের ভাষা এবং সাহিত্যের ফারাক যদি স্পষ্ট হয় এবং ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার বছর যদি কোনও ভাষার ইতিহাস বা প্রাপ্ত নথির বয়স হয় তবেই সেই ভাষাকে ধ্রুপদীর স্বীকৃতি দেয়া হয়। এই স্বীকৃতি প্রাপ্ত হলে সেই ভাষা নিয়ে গবেষণা এবং সাহিত্য চর্চার জন্য বিশেষ অনুদান দেয় কেন্দ্র।
সুবিধার দিক থেকে দেখতে গেলে ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে কোন ভাষা স্বীকৃতি লাভ করলে কেন্দ্রীয় সরকার সেই ভাষার প্রসার ও প্রচারের জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নেন। ধ্রুপদী ভাষার জন্য জাতীয় পুরষ্কার ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় ধ্রুপদী ভাষার প্রসার ও প্রচারে চেয়ার তৈরি করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে বলেছেন, আমি অত্যন্ত খুশি যে, অসমীয়া, বাংলা, মারাঠি, পালি ও প্রাকৃতকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই ভাষাগুলি অপূর্ব, তারা আমাদের অসাধারণ বৈচিত্রের সাক্ষ্য বহন করে।