Asia Monitor18 বাংলাদেশের হাসিনা সরকারের পতনের পর অনেক পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশে সংবিধান বদলানোর সাথে সাথে জাতীয় সঙ্গীত বদলানোর দাবি করা হচ্ছে। ইসলামি কট্টরপন্থীরা দাবি করছে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত বদলানোর। রবীন্দ্রনাথের লেখা সঙ্গীতকে বাদ দিয়ে অন্য কোন গানকে তারা জাতীয় সঙ্গীত করার দাবি জানাচ্ছে।
বাংলাদেশ এবং ভারত এই দুই দেশেরই জাতীয় সঙ্গীত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরই লেখা। এতদিন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গাওয়া হত ‘আমার সোনার বাংলা’। আমার সোনার বাংলা গানটি ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লেখেন। জাতীয় সঙ্গীত বদলানোর বিষয় সম্পর্কে প্রথম দাবি করেন বাংলাদেশ সেনার প্রাক্তন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আজমি। তার মতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতীয়। এই গানের সঙ্গে ইসলামিক ভাবধারার কোন মিল নেই বলে তার মতামত। এই গান কিছুতেই বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হতে পারে না বলে তিনি জানিয়েছেন।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্তাদের সরিয়ে দিয়েছে তেমনই বহু উগ্রপন্থীদের মুক্তি দিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের এই দাবি মানা হবে না। অনেকে এই দাবির সমর্থনে আবার অনেকেই বিপক্ষে।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে এই গানটিকে জাতীয় সঙ্গীত রূপে বেছে নেন শেখ মুজিবর রহমান। তবে তার মৃত্যুর পর একের বেশি বার এই গান পরিবর্তনের দাবি উঠেছে।
ওপার বাংলার এক বিখ্যাত লেখিকা তসলিমা নাসরিন এই বিষয় আপত্তি জানিয়ে লিখেছেন, জাতীয় সঙ্গীত ছাড়া আমাদের দেশে গর্ব করার আর বেশি কিছু পাই না আমি। প্যারিসে যখন ছিলাম ফরাসি বন্ধুদের বলতাম তোমাদের জাতীয় সঙ্গীত লা মারসেইয়েজ এ কেবল রক্ত নেওয়া আর খুনোখুনির কথা আছে কিন্তু আমাদের জাতীয় সংগীতে ভালোবাসার কথা আছে।