কোটা সংস্কার আন্দোলনের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিক্ষোভকারীদের তরফ থেকে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবি তোলে। সোমবার হাসিনা পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়, এবং তার সাড়ে পনেরো বছরের রাজত্বের অবসান ঘটে। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েই নিজের দেশ থেকে পালিয়ে যান এবং বোন রেহানাকে নিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়।
শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার কিছু মুহূর্ত পড়েই উদ্বিগ্ন জনতা, হাসিনার গণভবন দখল করে।শয়ে শয়ে মানুষ গণভবনে ঢুকে ধংসলীলা চালায়।চালায় দেদার লুঠ, বাদ যায়নি কিছুই।হাসিনার পোশাক থেকে শুরু করে,ঘরের নানান আসবাবপত্র,ফ্রিজের খাবার,ছাগল,পুকুরের মাছ,হাঁস-মুরগি সমস্তটাই লুঠ করেছে।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমস্ত মূর্তি ভেঙে ফেলছে উত্তপ্ত জনতা এবং মুছে ফেলা হচ্ছে মুজিব স্মৃতি।কয়েকঘন্টার মধ্যেই সেই সমস্ত ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে থাকে।
কিন্তু বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্ররা যারা শুধুমাত্র বিজয়ের প্রত্যাশা নিয়ে বিক্ষোভ করেছিল তারা কি এই লুঠপাঠের বিষয়টিকে সমর্থন করেছে? কোনো শিক্ষিত সমাজের পক্ষে কি এই ঘৃণ্য কাজগুলি করা সম্ভব।এরাই সেই ভবিষ্যত প্রজন্ম যারা নতুন সোনার বাংলা গড়তে চায়।মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের কী কোনো মূল্যই নেই তাদের কাছে!
জামাত,বিএনপি বা অন্য রাজনৈতিক দলের যে এই সমস্ত ঘটনাগুলির সাথে সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে তা স্পষ্ট।একটা দেশ যেখানে বর্তমানে না আছে কোনো আইন ব্যবস্থা আর না আছে কোনো পুলিশ বাহিনী! দেশের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তাও এখন প্রশ্নের মুখে।এবং এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ।
কোটা সংস্কার আন্দোলন এর ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন থেকেই রক্তাক্ত হয়েছিল বাংলাদেশ।শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে বলেছিলেন,যারা নাশকতা ছড়িয়েছে তারা ছাত্র নয়,তারা জঙ্গি।