বাংলাদেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের আন্দোলন এখন এক বৃহৎ জনসমুদ্রের রূপ নিয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় চলমান এই আন্দোলন সরকার এবং সাধারণ জনজীবনকে প্রবল চাপে ফেলে দিয়েছে।
গত সপ্তাহে শুরু হওয়া এই আন্দোলন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রধান শহরগুলোতে তীব্র আকার ধারণ করেছে। আন্দোলনকারীরা সরকারের কোটা পদ্ধতির সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত সড়ক ও রেলপথ অবরোধের হুমকি দিয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি
কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, বর্তমান কোটা পদ্ধতি মেধার অবমূল্যায়ন করছে এবং এটি শিক্ষার্থীদের জন্য এক ধরনের বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা। তাদের প্রধান দাবি হলো, চাকরিতে ৫৬% কোটার পরিবর্তে ১০% কোটা চালু করা।
সরকারি প্রতিক্রিয়া
সরকারি মন্ত্রী ও কর্মকর্তারা এ আন্দোলনকে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন যে, কোটা পদ্ধতির সংস্কার নিয়ে আলোচনার জন্য একটি উচ্চস্তরীয় কমিটি গঠন করা হবে। তিনি আন্দোলনকারীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন এবং আশ্বাস দিয়েছেন যে, আন্দোলনকারীদের দাবির প্রতি সরকার ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে কাজ করছে।
জনজীবনে প্রভাব
আন্দোলনের কারণে দেশের বিভিন্ন প্রধান সড়ক ও রেলপথে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট এবং খুলনা সহ প্রধান প্রধান শহরগুলোতে জনজীবন কার্যত স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
ভবিষ্যতের দৃশ্যপট
আন্দোলনের নেতারা ঘোষণা করেছেন যে, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এদিকে, সাধারণ জনগণ এই আন্দোলনের কারণে সৃষ্ট অসুবিধার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে অনেকেই শিক্ষার্থীদের দাবিকে সমর্থন করছেন এবং সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এখন দেখার বিষয়, সরকার কীভাবে এই আন্দোলনের সমাধান করে এবং শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণে কী পদক্ষেপ নেয়।