Asia Monitor18 হাইতিতে এক ছোট শহরে সশস্ত্র অপরাধী চক্রের হামলায় পুর অঞ্চল অসন্তুষ্ট হয়ে পড়েছে। এই নৃশংস হামলার জেরে সিশুসহ প্রায় ৭০ জন মারা গেছেন। ১৬ জন গুরুতর ভাবে আহত এই ঘটনার ফলে। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে। রাজধানী পোর্ট- অ- প্রিন্সের প্রায় ৭১ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে কেন্দ্রীয় আর্টিবোনিট অঞ্চলের পন্ট-সোন্ডে শহরে তাণ্ডব চালায় এই গ্র্যান গ্রিফ গ্যাং সদস্যরা।
প্রায় ৬ হাজার মানুষ এই ঘটনার জেরে পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। পালিয়ে যাওয়া জনগণের মধ্যে বেশিরভাগই আশেপাশের সেন্ট-মার্ক এবং অন্যান্য শহরে বসবাসকারী পরিবারের কাছে আশ্রয় নিয়েছে, অবশিষ্টাংশ অস্থায়ী শিবিরে অবস্থান করছে। একটি ভিডিও ফুটেজে প্রকাশিত হয়েছে বহু মানুষ মোটর সাইকেলের সাহায্যেও এই সহিংসতা থেকে পালাচ্ছে।
জাতিসংঘ বলেছে, গ্যাংয়ের সদস্যরা কমপক্ষে ৪৫টি বাড়ি এবং ৩৪টি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে চতুর্দিক লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে। এই গ্র্যান গ্রিফ গ্যাঙকে হাইতির অন্যান্য গ্যাঙের তুলনায় সবচেয়ে সহিংস বলে মনে করা হয়। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে এর সদস্যদের বিরুদ্ধে পুলিশ স্টেশনে হামলা এবং ছয়জন কর্মকর্তার উপর হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছিল।
এই গ্যাংটির প্রায় ১০০ সদস্য রয়েছে। এই সমস্ত ঘটনায় জড়িত মানুষের নামে হত্যা, ধর্ষণ, ডাকাতি এবং অপহরণসহ অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও সাত লাখের বেশি মানুষকে পরিষেবা দেওয়া একটি হাসপাতাল বন্ধ করতে বাধ্য করার জন্যও দায়ী করা হয় এদেরই।
এই হামলার কারণ হিসেবে গ্র্যান গ্রিফ গ্যাং নেতা লাকসন এলান জানিয়েছেন, পুলিশ এবং অন্যান্য গোষ্ঠী যখন তাদের সেনাদের হত্যা করেছিল, তখন বেসামরিক লোকজন চুপ ছিল। এর প্রতিশোধ হিসেবে তারা এই হামলা চালিয়েছে।