মানিলা, ৩১ জুলাই ২০২৪ – ফিলিপিন্সের প্রতিরক্ষা খাতে উন্নয়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ৫০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা প্রদান করেছে। এ সহায়তা মূলত এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ফিলিপিন্সের সামরিক সক্ষমতা জোরদার করতে সাহায্য করবে।
ফিলিপিন্স ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এ সাম্প্রতিক সহযোগিতা দুই দেশের প্রতিরক্ষা সম্পর্ককে আরও মজবুত করে তুলেছে। এই অর্থের মাধ্যমে ফিলিপিন্স নতুন সামরিক সরঞ্জাম, অস্ত্রশস্ত্র, প্রযুক্তি, এবং প্রশিক্ষণ সুবিধা উন্নত করতে পারবে। এটি দেশটির সামরিক বাহিনীর দক্ষতা বাড়াতে এবং আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়ায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
ফিলিপিন্সের প্রতিরক্ষা সচিব ডেলফিন লরেনজানা এই অনুদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “এই সহায়তা আমাদের প্রতিরক্ষা খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। ফিলিপিন্সের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে এটি আমাদের সক্ষমতা আরও শক্তিশালী করবে।
“যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ফিলিপ গোল্ডবার্গ বলেন, “আমরা ফিলিপিন্সের সঙ্গে আমাদের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও গভীর করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফিলিপিন্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, এবং আমরা তাদের পাশে আছি।
“এ সহায়তা বিশেষত দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক উপস্থিতি এবং আঞ্চলিক জলসীমায় উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ। ফিলিপিন্স এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই চীনের সাথে এ অঞ্চলে প্রভাব বিস্তার নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে আছে। তাই এ ধরনের সামরিক সহযোগিতা ফিলিপিন্সের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে সাহায্য করবে।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তা কেবল ফিলিপিন্সকেই নয়, বরং পুরো অঞ্চলে একটি শক্তিশালী নিরাপত্তা অবস্থান গড়ে তোলার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দেখা যেতে পারে। এটি এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা নীতির একটি সুস্পষ্ট প্রতিফলন।