সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততার অভিযোগ নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা চলছে। এই প্রসঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে জানায়, এই ধরনের অভিযোগ ‘হাস্যকর’ এবং ভিত্তিহীন।
বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপের পক্ষে নয়। তারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সবসময়ই জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানোর উপর জোর দেয়। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে আরও জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখে এবং দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই বিবৃতি এমন সময় এলো, যখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে উত্তেজনা বাড়ছে এবং বিভিন্ন মহল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। সম্প্রতি কিছু রাজনৈতিক নেতা ও বিশ্লেষক দাবি করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র শেখ হাসিনার সরকারকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করছে। তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এই ধরনের দাবিকে সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে এবং এটিকে ‘হাস্যকর’ আখ্যা দিয়েছে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এই বিবৃতি যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট করেছে এবং এটি বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনা প্রশমিত করতে ভূমিকা রাখতে পারে। তবে একইসঙ্গে, তারা বলছেন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করার জন্য সব পক্ষেরই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা জরুরি।
বিশ্লেষকরা আরও মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে যে কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, তা দীর্ঘদিন ধরে গড়ে উঠেছে এবং এটি দ্বিপাক্ষিক স্বার্থের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। ফলে, এই ধরনের অভিযোগ দুই দেশের সম্পর্কের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছেন। তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই বিবৃতি সেই আশঙ্কা অনেকটাই দূর করবে বলে তারা মনে করছেন।
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা সরকার দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। তাই, এই ধরনের অভিযোগ উত্থাপন এবং পরবর্তী সময়ে তা নাকচ করা দুই দেশের সম্পর্কের গভীরতার প্রমাণ হিসেবে দেখা যেতে পারে।