ভারতীয় ভূখন্ডের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েছে চিনা সেনাবাহিনী, এমনটাই জানিয়েছে অরুণাচলের বাসিন্দারা, প্রায় ৬০ কিলোমিটার দখল করেছে চীনাবাহিনী। স্থানীয়দের দাবী অন্ধ্রের অন্জ জেলায় চীনা সেনার ক্যাম্প দেখা গেছে। অন্জ জেলার কাপাকু এলাকায় চীনা সেনার খোঁজ পাওয়া গেছে। ইন্ডিয়া টু ডের একটি প্রতিবেদনে দাবী করা হয়েছে যে সপ্তাহখানেক আগে থেকেই নাকি সেখানে ঘাঁটি গেড়েছে চীনা সেনা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফ থেকেও একই কথা জানানো হয়েছে।
চীনা ক্যাম্পটি ম্যাকমোহন লাইন থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে হাদিগ্রা পাসের কাছে অবস্থিত। উল্লেখ্য এই অন্জ জেলার চাকলাগাম এলাকা থেকেই দু-বছর আগে নিখোঁজ হয়ে যায় দুই ভারতীয়, তারা লাইন অফ এ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (LAC) বাসিন্দা ছিল।চিনা সীমান্তবর্তী এলাকায় ঔষধি গাছের খোঁজে গিয়েই হারিয়ে যায় তারা। স্থানীয়দের দাবী চিনের পিপলস্ লিবারেশন আর্মিদের কাছে বন্দী আছে তারা।ভারতীয় সেনাদের কাছে বারবার নিখোঁজদের খোঁজ চেয়েও কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
অন্জর বিধায়ক তথা নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী দাসাংলু পুরল সেই সময় বলেছিলেন, চীন এখনো সরাসরি স্বীকার করেনি দুই যুবক তাদের হেফাজতে কিনা,তবে আমাকে বলা হয়েছে বেঁচে আছেন তারা। তবে অন্জতে প্রবেশ এখোনো চীনের চরফ থেকে কিছুই জানানো হয়নি। দুই ভাই ছাড়াও চানের সীমান্ত থেকে নিখোঁজ হয়েছে বহু ভারতীয় । ২০২০ সালে সুবালসিঁড়ি জেলা থেকে নিখোঁজ হয় পাঁচ যুবক। এক সপ্তাহ চীনা সেনার হাতে বন্দী থাকার পড়ে ঘরে ফেরে তারা ,২০২২ সালেও এক কিশোর প্রায় ৯ দিন পর ঘরে ফেরে চীনা সেনার হাত থেকে।পাশাপাশি এই বারই প্রথমবার নয়, এর আগেও ভারতীয় ভূখন্ডে চীনা সেনার অনুপ্রবেশের খবর প্রকাশ্য়ে এসেছে।
২০১৯ সালে চীন অরুণাচল সীমান্তে আমাকো ক্যাম্পের কাছে দৈমরু নালার ওপর কাঠের অস্থায়ী ব্রিজ বানিয়েছিল। ২০২০ সালেও ঢুকে পড়েছিল চিন বাহিনী।
তবে বারবার চিনের এই অনুপ্রবেশ এর খবর মোদী সরকারের তৃতীয় দফার প্রধানমন্ত্রীত্বকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।তবে এককসংখ্যাগরিষ্ঠতায় ভোট না পাওয়ায় বারবার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধির প্রশ্নবানের মুখোমুখি হচ্ছেন মোদী সরকার।