Asia Monitor18 প্রায় ১১ মাস ধরে চলে আসা ইসরায়েলই বোমা হামলার ফলে বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় রবিবার থেকে পোলিও টিকা দানের কর্মসূচী চালু করা হবে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য বিভাগ ও জাতিসংঘের সংস্থাগুলো পোলিওর আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। প্রায় ৬ লাখ ৪০ হাজার মধ্য গাজার শিশুকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে আগামী বুধবার পর্যন্ত। এরপর উপত্যকার আরও বিধ্বস্ত উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে টিকা দেওয়া হবে।
তবে এই পোলিও টিকাদানের আগে গাজায় নতুন করে ইসরায়েলই হামলায় কমপক্ষে ৪৮ জনের মৃত্যু ঘটেছে। যুদ্ধ বন্ধের কোন চুক্তিতে পৌঁছাতে ইসরায়েল ও হামাস ব্যর্থ হয়ে বলেছেন, তারা এই কর্মসূচি সফল করতে সাহায্য করবে। এই টিকাদান সম্পন্ন ইসরায়েল ও হামাস বাহিনীর লড়াইয়ে দৈনিক আট ঘণ্টা বিরতির উপর নির্ভর করে।
একটি ১০ মাস বয়সী ছেলে পোলিও আক্রান্ত। বর্তমানে ছেলেটির একটি পা পক্ষাঘাতগ্রস্ত। প্রায় ২৫ বছর পর গাজা প্রথমবারের মতো পোলিওর খবর দেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এই শিশুটিকে চিহ্নিত করার অর্থ হল আরও শত শ্ত শিশু এই রোগে আক্রান্ত থাকতে পারে জাদের এখন এই রোগের উপসর্গ দেখা দেইনি। অধিকাংশ পোলিও আক্রান্ত মানুষের শরীরে কোন উপসর্গ দেখা যায় না। আর যাদের উপসর্গ বর্তমান তারা সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে সেরে উঠেন। তবে এই রোগের কোন চিকিৎসা হয়না। কেউ যদি এই রোগের কারণে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয় তবে তা স্থায়ী হয়। পক্ষাঘাত যদি শ্বাসযন্ত্রের পেশিতে হয় তবে মৃত্যু হতে পারে।
চলমান এই যুদ্ধের ফলে সড়ক, হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। গাজার ২৩ লাখ মানুষের মধ্যে ৯০ শতাংশই অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতির শিকার হয়েছে। অনেক মানুষ আশ্রয় শিবিরের নোংরা তাঁবুতে বাস করেছে। চারিদিকে জঞ্জাল। এই বড় আকারের দুর্ভিক্ষের কারণে মানুষ আরও বেশি পরিমাণে রোগাক্রান্ত হচ্ছে।