রোববার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে শেখ হাসিনাকে ভারতে থেকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
ভারতের সঙ্গে সর্বশেষ এমওইউ বর্তমান সরকার পুনর্বিবেচনা করবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমওইউ চূড়ান্ত চুক্তি না। কাজেই এখানে আমাদের স্বার্থ সুরক্ষিত হয়েছে কি না সেটি তো আমারা দেখতেই পারি। সে অনুযায়ী স্বার্থ রক্ষা করে যা করা দরকার আমরা করব।
শেখ হাসিনার লাল পাসপোর্ট বাতিল হওয়ার পর এখন তিনি ঠিক কী হিসেবে বা কোন স্ট্যাটাসে ভারতে আছেন- এ প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এ বিষয়ে ভারতকে জিজ্ঞাসা করুন। তারা বলতে পারবে কোন স্ট্যাটাসে শেখ হাসিনা ভারতে আছেন।’
ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থানের স্ট্যাটাসটা কী, তিনি কী হিসেবে থাকছেন? জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা বরং ভারতীয়দের জিজ্ঞেস করুন। লাল পাসপোর্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়েছে। এটা ভারতীয়দের জিজ্ঞেস করুন কি স্ট্যাটাসে তিনি সেখানে আছেন।’
বাংলাদেশে ভারতের যেসব প্রকল্প রয়েছে, সেগুলো এখন পড়ে আছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেকোনো বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের পর কিন্তু একটু কেওয়াস থাকতেই পারে। আমাদের এখানে তো আইনশৃঙ্খলা নিয়ে একটু সমস্যা ছিল, সেটা অস্বীকার করে লাভ নেই। তা আমরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পেরেছি। ধীরে ধীরে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে আসবে। সবকিছু নরমাল হলে তারা নিরাপত্তাবোধ করবে এবং তারাও আসবে। কারণ চলমান প্রকল্পগুলো তো আমাদের শেষ করতে হবে।
ভারতবিরোধী এক ধরনের মনোভাব তৈরি হয়েছে, যারা এখানে কাজ করেন, তারা আতঙ্কের মধ্যে আছেন কি না- এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, এক ধরনের ভীতির মধ্যে আছেন সেটি বলি, আতঙ্ক না বলি। সেই ভীতি থেকে আশা করি তারা বেরিয়ে আসতে পারবেন।