ত্রিপুরার বন্যা পরিস্থিতি, গত চার দিনের ভারী বৃষ্টিতে বন্যায় ত্রিপুরা বিপর্যস্ত হয়েছে, বৃহস্পতিবারও তার ভয়াবহতা লক্ষ্য করা যায়। দক্ষিণ ত্রিপুরায় ধস নেমে মাটির নিচে চাপা পড়ে মহিলা ও শিশু সহ সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ ত্রিপুরার আটটি জেলায় ‘রেড অ্যালার্ট’ জারী করেছে, ত্রিপুরা প্রশাসন জানিয়েছেন।
গত চার দিনের ভারী বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে ত্রিপুরায়। ত্রিপুরার বন্যায় নিহত হয়েছেন ১৯ জন যার মধ্যে ৭ জনের ধসের কারণে মৃত্যু ঘটে,২ জন নিখোঁজ,ঘরছাড়া প্রায় ৬৫ হাজারেরও বেশী মানুষ,রাজ্য সরকারের বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে জানিয়েছেন ।
অবিরাম ভারী বৃষ্টি চলতেই থাকবে, রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে দক্ষিণ ত্রিপুরায়।এনডিআরএফ-এর বেশ কয়েকটি দল ত্রিপুরায় এয়ারলিফট করে উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে। ৬হাজার মানুষকে জলমগ্ন এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে।
রাজ্যেজুড়ে প্রায় ৪৫০ টিরও বেশী ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে।বন্যার কারণে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় যোগাযোগ ব্যাহত হয়েছে,সড়কপথেও যোগাযোগ ব্যাহত হয়েছে,ভারী বৃষ্টির কারণে অনেক ট্রেনও বাতিল করা হয়েছে।
২০৩২টি অঞ্চলে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ১,৭৮৯টি অঞ্চল সংস্কার করা হয়েছে এবং অন্যান্য স্থানে পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে। ধলাই, খোয়াই, দক্ষিণ ত্রিপুরা, পশ্চিম ত্রিপুরা, উত্তর ত্রিপুরা ও উনাকোটি জেলার ছয়টি নদীর জলস্তর বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
“ত্রিপুরায় গতকাল ২৪ ঘন্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে, বিশেষ করে দক্ষিণ ত্রিপুরায় (বগাফা: ৪৯৩.৬ মিমি), সেপাহিজলা (সোনামুরা: ২৯৩.৪ মিমি), পশ্চিম ত্রিপুরা (আগরতলা: ২৩৩ মিমি) এবং গোমাইপুরে : ১৫৫ মিমি)। ফলস্বরূপ, সমগ্র রাজ্য বন্যা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বিশেষ করে গোমতি, দক্ষিণ ত্রিপুরা, উনাকোটি এবং পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাগুলি, “ত্রাণ, পুনর্বাসন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানিয়েছে।