Asia Monitor18 এমপক্স আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে এবার পাকিস্তানের পর এবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনে। দেশটিতে সংক্রমিত হওয়া ভাইরাসটির ধরন এখনো জানা যায়নি। সংশ্লিষ্টরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন এ বিষয় সম্পর্কে। আগে ইউরোপের দেশ সুইডেনেও এমপক্স শনাক্ত হয় এবং এ বছর দেশটিতে এটিই এমপক্স শনাক্তের প্রথম ঘটনা। এমপক্স রোগের জন্য দায়ী মাঙ্কিপক্স ভাইরাস। এটি আগে মাঙ্কিপক্স নামেই পরিচিত ছিল। কিন্তু এটির ধরনের পরিবর্তনের জন্যই এখন ভাইরাসটি এমপক্স নামে চিহ্নিত হয়। বর্তমানে এটি মানুষের প্রাত্যহিক সংস্পর্শে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
গত ডিসেম্বরের পর ফিলিপাইনে এই প্রথম এম্পক্স রোগী পাওয়া গেল বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানায় যে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে অন্তত এক সপ্তাহ আগে থেকে উপসর্গ দেখা দেবে। প্রথমে জ্বর এবং এর চার, পাঁচ দিন পর দেহের বিভিন্ন জায়গায় মুখ, পিঠ, ঘাড়, হাত ও পায়ের তালু প্রভৃতি অংশে ফুসকুড়ি দেখা যাবে। চিকিৎসকরা বলেছেন, ভাইরাসটি প্রাণঘাতী না হলেও এটি শিশু ও প্রসূতিদের জন্য মারাত্মক জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে।
করোনা ভাইরাসের পর এখন আরেক উদ্বেগ এই এমপক্স। ২০২২ সালের জুলাই মাসে প্রথম ফিলিপাইনে এমপক্স আক্রান্ত রোগী পাওয়া গিয়েছিল। ফিলিপাইনে এমপক্স আক্রান্ত রোগীটির বয়স ৩৩ বছর। এই ব্যক্তি দেশের বাইরে ভ্রমণ করেছিলেন। দেশে ফিরে তিনি অসুস্থতাবোধ করেন এবং চিকিৎসকের কাছে যান আর তারপরই তার দেহে এই ভাইরাস শনাক্ত করা হয়।
আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে এমপক্স মহামারী আকার ধারণ করে। এরপর সেটি আশপাশের দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে এবং এক সপ্তাহের মধ্যে ভাইরাসটি আফ্রিকার গণ্ডি ছাড়িয়ে ইউরোপ ও এশিয়ায় শনাক্ত হয়।